সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সংসদীয় কমিটিকে অপারেশন সিঁদুর(Operation Sindoor) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত প্রথাগত সীমার মধ্যেই ছিল। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পারমাণবিক হুমকির কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের আবেদনের পরই সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হয়েছিল।
এর আগে ডোনল্ড ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন যে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নাকি পরমাণু যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট কার্যত পরমাণু যুদ্ধ থামানোর জন্যে কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন। তবে বিক্রম মিশ্রি সাংসদদের জানান, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের কথা ভাবছে বলে কোনও ইঙ্গিতও মেলেনি। এদিকে সংসদীয় কমিটিকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছে।’
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সংঘর্ষবিরতিতে ট্রাম্পের কৃতিত্ব দাবি নিয়ে বিক্রম মিশ্রিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সংসদীয় কমিটির তরফ থেকে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, কমপক্ষে সাত বার ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেছেন ট্রাম্প; ভারত কেন এখনও এই নিয়ে নীরব? কেন ট্রাম্পকে এই ধারণা প্রচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কেন ট্রাম্পকে নাক গলাতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে?

বিদেশ সচিব অবশ্য জানিয়ে দেন, তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা ছিল না তাতে। আবার আমেরিকা কেন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করল, তাতেও কোনও ভূমিকা নেই ভারতের। যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করা ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মিশ্রি। কটাক্ষের সুরে নাকি বিদেশ সচিব বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মন্তব্য করার জন্য তার কাছ থেকে অনুমতি নেননি। জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও দেশেরই মন্তব্য করার অধিকার নেই।’
বিক্রম মিশ্রি স্পষ্ট জানান, গত ১০ মে দুই দেশের ডিজিএমও-র আলোচনাতেই সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে ভারতের আগে ট্রাম্প সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অেক বিদ্বেষপূর্ণ বার্তা পোস্ট করা হয় বিক্রম মিশ্রির জন্যে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গোটা সংসদীয় কমিটি বিদেশ সচিবের পাশে আছে বলে বার্তা দেওয়া হয়।