সলমনের উপর ঐশ্বর্যকে মারধরের অভিযোগ

Spread the love

এতগুলো বছর পেরিয়ে এসেও, সলমন খান আর ঐশ্বর্য রাইয়ের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা যেন কমে না! কেন তাঁদের বিচ্ছেদ, সত্যিই কি সলমন গায়ে হাত তুলতেন ঐশ্বর্যর, এরকম কতই না প্রশ্ন সাধারণের মনে ঘোরাফেরা করে এখনও। যদিও ভাইজান বরবরই প্রাক্তনকে নিয়ে নীরাবতা বজায় রেখেছেন, তবে একবার দাদার হয়ে মুখ খুলেছিলেন ভাই সোহেল। সরাসরি ঐশ্বর্যর দিকে আঙুল তুলে কী বলেছিলেন সোহেল খান?

হাম দিল দে চুকে সনম-এর সেটে প্রেমে পড়েছিলেন সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই একে-অপরের। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে, সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা বলতে গিয়ে, ঐশ্বর্য দাবি করেছিলেন যে, সলমন খানের মদ্যপ স্বভাবের কারণেই তিনি সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সঙ্গে রাই-সুন্দরীর দাবি ছিল যে, তিনি মৌখিক, শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বিশ্বাসঘাতকতা ও অসম্মানের শিকার হয়েছিলেন।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে কোনোদিন ঐশ্বর্যর এই দাবিগুলি নিয়ে, ব প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি সলমন খান। তবে দাদার হয়ে, একবার কথা বলেন সোহেল। এক সাক্ষাৎকারে, সোহেল দাবি করেছিলেন তাঁদের পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন ঐশ্বর্য। খান পরিবারের নিয়মিত যাতায়াত থাকলেও, বাইরে কখনো সলমন খানের সঙ্গে প্রেমকে স্বীকৃতি দেননি অভিনেত্রী। আর এটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগাত সলমনকে।এরপর সোহেল ক্ষোভ প্রকাশ করে পালটা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘এখন সে (ঐশ্বরিয়া) জনসমক্ষে কাঁদে। যখন সে তাঁর সঙ্গে ঘুরে বেড়াত, যখন সে পরিবারের সদস্যের মতো আমাদের বাড়িতে ঘন ঘন আসত, তখন কি সে কখনও এই সম্পর্কটি স্বীকার করেছিল? কখনও করেনি। এতে সলমন নিরাপত্তাহীন বোধ করত। সে জানতে চেয়েছিল যে, সে তাকে কতটা চায়। সে কখনই তাকে এই সম্পর্ক নিয়ে নিশ্চিত হতে দিত না।’

এখানেই শেষ নয়, সোহেলের আরও দাবি ছিল, ঐশ্বর্য বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার পরেও, যোগাযোগ রেখেছিল সলমন খানের সঙ্গে। আর যে কারণে, টেনশন আরও বেড়েছিল দুই অভিনেতার মধ্যে।

২০০১ সালে সলমন খান এবং ঐশ্বর্য রাইয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০০৭ সালে রাই-সুন্দরী বেছে নেন বচ্চন পরিবারকে। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। বিয়ের বছরখানেক পর, জন্ম দেন মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *