কদিনের মধ্যেই বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। পাইকারি ও খুচরো উভয় ক্ষেত্রে নানা সবজির দাম ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। সুতরাং সবজির বাজারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছিল সেটা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে টাস্কফোর্সকে নেমে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বলেছিলেন। কারণ যুদ্ধের জিগির তুলে কিছু ব্যবসায়ী বাজারে শাক–সবজির দাম বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই মূল্য হ্রাসে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ গৃহস্থরা। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষজন দাম কমায় উপকৃত হচ্ছেন। তবে মাছ–মাংসের দাম একটু কমলে পুরো বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়।
এই সবজি নিয়ে পাইকারি বিক্রেতারা জানান, সবজির জোগান বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দাম কমেছে। মজুত বৃদ্ধির কারণে বাজারে শাক–সবজির সরবরাহ বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দামে। এখন কয়েকটি সবজির দাম তুলনামূলক বেশি রয়েছে। তবে কদিনের মধ্যে সেগুলির দামও কমবে। ক্রমাগত সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে শাক–সবজির বাজারে স্থিতিশীলতা আরও বাড়বে। একটা সময় এসেছিল যখন সবজির দাম বেড়ে ছিল। সবজির চড়া দামে বাজার করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছিল গৃহস্থদের। সেখান থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও দাম বেশি বলে মনে হচ্ছিল অনেকের। তবে এবার সেটা কমায় হাসি ফুটেছে মুখে মধ্যবিত্তের।

এখন বাজারে ভাল মানের বেগুন প্রতি কেজি ৫০–৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢ্যাঁড়স ও পটলের দাম ৪০ টাকা কেজি। যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগেও ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। বরবটি, চিচিঙ্গা এবং করলার দামও কমেছে। কুমরো, ঝিঙে, পেঁপে, টমেটো, ইচোর–সহ নানা সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে। বিরাট হ্রাস পেয়েছে এমন নয়। তবে কমেছে। এটাই যেন চেয়েছিলেন ক্রেতারা। তবে আলুর দাম ২২ টাকা দর হওয়ায় ক্রেতাদের দাবি, কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়েছে আলুর দাম। আগে ২০ টাকার মধ্যে এক কেজি আলু মিলছিল।
সুফল বাংলার স্টলে সবজির দাম আরও কম। এই স্টল আরও বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা, ক্যাপসিকাম দামের দিকে থেকে একটু বেশি দর আছে। সেটাও মে মাসের শেষ দিকে কমে যাবে বলে ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর। পেট্রল–ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহণের খরচ বেড়ে গিয়েছে। সুতরাং এগুলির দামে তার প্রভাব পড়েছে। ডিমের দাম এখন সাড়ে ৬ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পঞ্চাশ পয়সা বেড়েছে বলে ক্রেতাদের দাবি। সেটা কমবে কিনা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।