সাজাপ্রাপ্ত ১২ TMC নেতাকে জামিন দিল হাইকোর্ট

Spread the love

বর্ধমানে আট বছর আগে দলীয় কর্মীকে খুনের চেষ্টার মামলায় ১২ তৃণমূল নেতা-কর্মীকে কারা কারাদণ্ড দিয়েছিল বর্ধমান আদালত। সেই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১২ অভিযুক্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। জামিনের জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ সাজাপ্রাপ্তদের জামিন মঞ্জুর করে।

কলকাতা হাইকোর্ট ১০,০০০ টাকার বন্ডে তাঁদের জামিন দিয়েছে। এছাড়াও, মাসে একদিন বর্ধমান সিজিএম আদালতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে জামিন দিলেও এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্দেশের নথি বর্ধমান আদালতে জমা দিতে হবে। আদালতের বিচারক জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলে তবেই তাঁরা জামিন পাবেন।

২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল। ঘটনায় তিনি দলের কয়েকজন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কাকলি গুপ্ত-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সেই মামলা চলছিল বর্ধমান আদালতে। পরে মার্চে আদালত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে রায় ঘোষণার আগে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন তথা বর্ধমান-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কাকলি তা গুপ্তকাকলি গুপ্ত, যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ ও রায়ান-১ অঞ্চলের সভাপতি সেখ জামাল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। শেষপর্যন্ত সেই মামলায় বর্ধমান আদালতের ফার্স্ট ট্র্যাক (দ্বিতীয়) কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র দোষীদের মধ্যে ১২ জনের জরিমানা ও ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্যে ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত তায়ের তিন বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে তিনি জামিন পান। বাকি ১২ জনকে জেলে পাঠানো হয়। তাঁরা নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সোমবার তাঁদের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করে ডিভিশন বেঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *