সাসপেন্ড পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দয়িতাপতি

Spread the love

শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রবিবার বরখাস্ত করল সেবায়েত রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রকে। ৩০ দিনের জন্য তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দিঘা জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে নানা বিতর্কের মাঝে সামনে এল এই সাসপেন্ডের খবর। সূত্রের খবর, এই সাসপেন্ডের জেরে তিনি ৩০দিনের জন্য এই দয়িতাপতি সেবায়েত শ্রীমন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভগবান জগন্নাথের জন্য যে কাজকর্ম সেটা তিনি এই সময়কালের জন্য করতে পারবেন না।

ওড়িশা টিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি পুরীর মন্দিরের মর্যাদা হানি করেছেন। এর আগে গত রবিবার শ্রীমন্দির প্রশাসন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাকে জেরা করেছিল। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পবিত্র কাঠ ব্যবহার নিয়ে একটা বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তার জেরেই রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রকে ঘিরে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল।

এদিকে দয়িতাপতির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। লিখিত অভিযোগে জগন্নাথ সেনা রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রের নাম উল্লেখ করে নানা অভিযোগ করেছিল। পুরীর মন্দির প্রাঙ্গন থেকে পবিত্র নিমকাঠ দিঘাতে আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য় সেই অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানা গিয়েছে।

সিনিয়র দয়িতাপতি সেবক রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ডিউটি থেকে। এক মাসের জন্য় এই সাসপেনশন করা হয়েছে।

শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি জানিয়েছেন, একজন নির্দিষ্ট দয়িতাপতি সেবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। আমি নিজে সেই তদন্ত করেছিলাম। শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাক্ট অনুসারে সাসপেন্ড করা হয়েছে এই সেবায়েতকে একমাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্দিরে যাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে সেটা দেখা হচ্ছে। আমরা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে কোনও বিশৃঙ্খলা মানব না।

এই দয়িতাপতি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেখানে তিনি নানা ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তাঁকে ঘিরে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। এবার একেবারে সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।

তিনি পুরী থেকে বাড়তি নিম কাঠ এনে দিঘার জগন্নাথ মূর্তি তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে পরে অবশ্য় সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। তবে এবার সেই সেবায়েতকে একমাসের জন্য় সাসপেন্ড করা হল। এক মাসের জন্য় সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *