সিকিমে আটকে ১৫০০ পর্যটক! গাড়ি পড়ে যাওয়ায় এখনও নিখোঁজ ৮ জন

Spread the love

উত্তর সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে এবং ভূমিধসের কারণে লাচেন ও লাচুং এলাকায় এখনও আটকে ১,৫০০ পর্যটক । শনিবার একাধিক রাস্তায় ভূমিধসের কারণে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পর্যটকদের হোটেলেই থাকতে বলা হয়েছে। রাস্তা পুনরায় খুলে দেওয়া হলে তাঁদের সরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন মাঙ্গান জেলার পুলিশ সুপার সোনম দেচু ভুটিয়া। অন্যদিকে, ১০০০ ফুটের নিচে গাড়ি পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৮ জন পর্যটক। তাঁদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার রাতে মাঙ্গান জেলার মুনসিথাং এলাকায় লাচেন-লাচুং মহাসড়কের মুনসিথাংয়ের কাছে পর্যটকদের ওই গাড়ি প্রায় ১,০০০ ফুট নিচে নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন। গাড়িতে থাকা ১১ জন পর্যটকের মধ্যে ওড়িশার স্বয়ম সুপ্রতিম নায়ক ও সাইরাজ জেনাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে গ্যাংটকের এসটিএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিখোঁজ পর্যটকরা হলেন, ওড়িশার অজিত কুমার নায়ক, সুনীতা নায়ক, সাহিল জেনা এবং ইতশিরি জেনা। এছাড়াও, ত্রিপুরার দেবজ্যোতি জয় দেব, স্বপ্ননীল দেব এবং উত্তরপ্রদেশের কৌশলেন্দ্র প্রতাপ সিং ও অঙ্কিতা সিং নিখোঁজ রয়েছেন। 

গাড়ির চালক পাসাং দেনু শেরপা, যিনি উত্তর সিকিমের সিংহিকের বাসিন্দা, তিনিও নিখোঁজ। মাঙ্গানের জেলা শাসক অনন্ত জৈন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নদীর তীরে চারটি পরিচয়পত্র এবং ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন।

অন্যদিকে, উত্তর সিকিমের থিয়েং এবং চুংথাং এলাকায় ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ শুক্রবার বিকেলে বিঘ্নিত হলেও শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়। মোবাইল নেটওয়ার্কও প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেল ৩ টে থেকে পুনরায় চালু হয়েছে। পানীয় জল সরবরাহ রবিবারের মধ্যে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় লাচুং সড়কটি খুলে দেওয়া হলেও শিপগিয়ার ও সাংকালাং হয়ে পেগং (চুংথাং) থেকে ফিদাং পর্যন্ত রাস্তা এখনও একাধিক ভূমিধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। শনিবার ও রবিবার উত্তর সিকিম ভ্রমণের জন্য কোনও অনুমতি জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *