সিগারেট খাওয়া! মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলা হলে

Spread the love

বিনোদ কাম্বলি তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক মাইলফলক অর্জন করেছিলেন। তবে, অসঙ্গতিপূর্ণ পারফরম্যান্স, ফিটনেস সমস্যা এবং বিতর্কের কারণে তাঁর ক্যারিয়ার শীঘ্রই শেষ হয়ে যায়। গত বছর, তাঁর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে তাঁর অবস্থা দেখে সকলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। চরম আর্থিক সমস্যার পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতায় জেরবার কাম্বলি। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছেন এবং তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সহায়তা করেছিলেন।

চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ যোগরাজের

এদিকে, প্রাক্তন ক্রিকেটার যোগরাজ সিং প্রকাশ করেছেন যে, তিনি কাম্বলিকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। ইনসাইড স্পোর্টসের সঙ্গে কথোপকথনে যোগরাজ সিং বলেছেন যে, তিনি কাম্বলিকে পার্টি, ধূমপান এবং আরও অনেক কিছু ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিনোদ কাম্বলি তাঁর কথা শোনেননিয যার নিটফল, বর্তমানে তিনি সংগ্রাম করছেন।

যোগরাজ সিং বলেন, ‘আমি একবার বিনোদ কাম্বলিকে বলেছিলাম, এই পার্টি করা, সিগারেট খাওয়া, মেয়েদের সঙ্গে ঘোরা- এই সব বন্ধ করে দাও, না হলে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে এবং তোমাকে কাঁদতে হবে। দেখুন ওর এখন কী দশা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওর সঙ্গে কথা বলছিলাম। কিন্তু ও বলেছিল, স্যার, আপনার সময় শেষ। ও ভাবত, আমিই রাজা। কেউই খেলার চেয়ে বড় নয়।’

গত কয়েক মাস ধরে কাম্বলি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভুগছেন

প্রসঙ্গত, বিনোদ কাম্বলি গত কয়েক মাস ধরে শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি প্রস্রাবের সংক্রমণ, মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা এবং হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছেন। প্রসঙ্গত, ক্রিকেট মহল মনে করে যে, বিনোদ কাম্বলি দুরন্ত প্রতিভা থাকার পরেও, তাঁর আচরণের কারণে দুর্দান্ত ক্রিকেট ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

তিনি সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গেই ক্রিকেটর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। মুম্বইয়ে রমাকান্ত আচরেকারের কাছেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয়েছিল সচিন ও কাম্বলির। ১৯৯১ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল কাম্বলির। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম সাত ম্যাচে দু’টি ডাবল সেঞ্চুরি এবং দু’টি সেঞ্চুরি করে তিনি তাঁর প্রতিভা প্রদর্শন করেছিলেন। তবে, বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান মাত্র ১৭টি টেস্ট খেলেছেন।

তিনি তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন ১৯৯৫ সালে। তিনি ৫৪.২০ গড়ে ১০৮৪ রান করেছিলেন, যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল। তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২২৭। কাম্বলি ১০৪টি ওয়ানডেতে ২৪৭৭ রান করেছিলেন। তিনি শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০০০ সালে। তিনি ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ২০১১ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *