সুকান্তর স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু কমিশনের

Spread the love

খোদ কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল একসঙ্গে দু’টি ভোটার কার্ড রাখার অভিযোগ! যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যাঁকে নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি কোয়েল মজুমদার ওরফে কোয়েল চৌধুরী। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মোদী সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী।

অভিযোগ হল, কোয়েল একইসঙ্গে জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভোটার। জলপাইগুড়িতে তাঁর পরিচয় হল – কোয়েল চৌধুরী এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে তাঁর পরিচয় হল – কোয়েল মজুমদার। দু’টি জায়গায় দুই ভোটার কার্ডের এপিক নম্বরও আলাদা। ফলত, যদি সংশ্লিষ্ট দুই কেন্দ্রে দু’টি ভিন্ন দিনে ভোটগ্রহণ করা হয়, তাহলে হিসাব মতো কোয়েল দুই জায়গাতেই ভোটদান করতে পারবেন!

সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে, সম্প্রতি এই বিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। তিনি জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসকদের বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সুকান্তর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে পর্যন্ত জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ছিলেন কোয়েল। বিয়ের আগে তাঁর পদবী ছিল চৌধুরী। তাই কোয়েল চৌধুরী নামে জলপাইগুড়িতে ভোটার কার্ড ছিল। কিন্তু, বিয়ের পর তাঁর পদবী বদলে হয় মজুমদার এবং তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরে থাকতে শুরু করেন। সেই সময়েই নতুন করে ভোটার কার্ড তৈরি করান তিনি। সেই কার্ড হয় কোয়েল মজুমদার নামে।

নিয়ম অনুসারে, এক্ষেত্রে কোয়েলের ফর্ম-৮ পূরণ করার কথা ছিল। এবং তাঁরই দায়িত্ব ছিল, নির্বাচন কমিশনকে তাঁর আগের পদবী এবং ভোটার কার্ড সম্পর্কে অবহিত করা। কিন্তু, তিনি তা করেননি। বদলে ফর্ম-৬ পূরণ করে নতুন করে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ভোটার হয়েছেন। এতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের পক্ষেও জানা সম্ভব নয় যে তিনি আগে কোথাকার ভোটার ছিলেন, বা বিয়ের আগে তাঁর পদবী কী ছিল।

এই প্রেক্ষাপটে যেহেতু এখন কোয়েল চাইলেই দু’টি ভিন্ন দিনে দু’টি ভিন্ন জেলার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটদান করতে পারেন, সেই অবকাশ তাঁর রয়েছে, তাই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। বলা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই এই তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়তে পারে। আর সেটা হলে ওই রিপোর্ট দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে, দুই ‘কোয়েল’ আদতে একই ব্যক্তি কিনা, সেটা খতিয়ে দেখেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *