সুপ্রিম কোর্টে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ। অবশেষে কলেজিয়ামের সুপারিশে রাষ্ট্রপতির শিলমোহরের পরই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের শীর্ষ আদালতে তিন নতুন বিচারপতির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি তিন হাইকের্টের দুই প্রধান বিচারপতি এবং এক বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত করার সুপারিশ করে প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম।সেই মতো কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয় নামের তালিকা।বুধবারই কলেজিয়ামের এই সুপারিশে শিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তার একদিন পরেই, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অর্জুন রাম মেঘওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে সুপ্রিম কোর্টে ৩ বিচারপতি নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। তিনি লেখেন, ‘সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি, ভারতের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শের পর, কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি আঞ্জারিয়া, গুয়াহাটি হাইকের্টের প্রধান বিচরপতি বিজয় বিষ্ণোই এবং বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস চান্দুরকরকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করতে পেরে খুশি।’
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই নতুন তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।এর ফলে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় বড় মাপের রদবদল ঘটল।সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতির অনুমোদন থাকলেও, বর্তমানে রয়েছেন ৩১ জন বিচারপতি।প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের অবসর গ্রহণের ফলে শীর্ষ আদালতে তিনটি শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীও অবসর গ্রহণ করবেন ৯ জুন। ৩ নতুন বিচারপতি আসায় সেই সংখ্যা পরিপূর্ণ হবে।

শীর্ষ আদালতের শূন্যপদ পূরণের জন্য গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কলেজিয়াম বৈঠকে বসেছিল।প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে বর্তমানে আছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্ন।তারপরই এই তিন বিচারপতির নাম সুপারিশ করা হয়।পাশাপাশি পাঁচজনকে বিভিন্ন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের ২১ জন বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে।
নতুন বিচারপতিদের পরিচয়
১৯৮৮ সালে বিচারপতি আঞ্জারিয়া গুজরাট হাইকোর্টে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ২০২৪ সালে তিনি কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাধন বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। অন্যদিকে, ১৯৮৯ সালে রাজস্থান হাইকোর্টে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন বিচারপতি বিষ্ণোই। তিনিও গত বছর গুয়াহাটি হাইকের্টের প্রধান বিচরপতি পদে উন্নীত হন।