সোনমকে নিয়ে আসা হল মেঘালয়ে

Spread the love

মেঘালয়ে হানিমুনে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনে অভিযুক্ত খোদ নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। মঙ্গলবার রাতেই শিলং নিয়ে আসা হয়েছে প্রধান অভিযুক্ত সোনমকে। গাজিপুর আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসার পরে বুধবারই, তাকে তোলা হবে শিলং আদালতে। শুধু সোনম নয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও ৪ অভিযুক্তকেও আদালতে পেশ করা হবে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সোনম। ৯ মে ভোরে তাকে গ্রেফতার করে নন্দগঞ্জ থানার পুলিশ। এরপরেই তাঁকে মেঘালয়ে নিয়ে আসার জন্য ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পরেই সোনমে মেঘলায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। পূর্ব খাসি পাহাড়ের এসপি বিবেক সিয়াম বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে শিলং নিয়ে আসায় সোনম- সহ ৫ অভিযুক্তকে। তারপরেই শিলং সদর থানায় নিয়ে আসা হয় সোনমকে। রাতেই শারীরিক পরীক্ষার জন্য সোনমে নিয়ে আসা হয়েছিল শিলংয়ের গনেশ দাস হাসপাতালে।তিনি আরও জানান, ‘আমরা দ্রুত চার্জশিট দাখিল করব। সিট যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে এবং মাত্র সাত দিনের মধ্যে আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণ সংগ্রহ করেছি।’ আদালতের কাছে সোনমকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে সোনমকে আরও জেরা করতে চাইছে মেঘালয়ের পুলিশ।এমনকী যেখানে রাজাকে খুন করা হয় সেখানেও সোনমকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁদের বলে জানিয়েছেন মেঘালয়ের পুলিশ আধিকারিক। সেখানে তাকে নিয়ে গিয়ে খুনের ঘটনা পুননির্মাণ করতেও চাইছে পুলিশ।পুলিশের মতে, সোনমের কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা কখনও শিলং যাননি। তিনি ফোনের মাধ্যমে পুরো খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং দূর থেকে সমস্ত নির্দেশনা দিতে থাকেন। সোনম তার সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখেছিলেন। এরপর সবাই চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছয়, যেখানে সোনম তার স্বামী রাজা রঘুবংশীকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত তিনজন রাজাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পুলিশ এখন এই ষড়যন্ত্রের পুরো চক্রটি একে একে বুঝতে পারছে।

বিয়ের পরে গত ২১ মে হানিমুন করতে মেঘালয়ে আসেন রাজা এবং সোনম রঘুবংশী। এর পরে ২৩ মে একসঙ্গে শেষ দেখা যায় তাঁদের। পরে ২ জুন মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির জলপ্রপাতের কাছে একটি গভীর খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজা রঘুবংশীর দেহ। তার আগে প্রায় দশদিন ধরে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন রাজা ও তাঁর স্ত্রী সোনম। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে রাজাকে খুনের অভিযোগে সোনম, তাঁর প্রেমিক রাজ এবং তিন জন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।বিয়ে করেছিলেন রাজাকে, কিন্তু ভালবাসতেন রাজকে। আর সদ্য বিবাহিত স্বামীর প্রতি এই অনীহা থেকেই বিয়ের তিন দিনের মধ্যে প্রেমিক রাজের সঙ্গে মিলে নিজের স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের পরিকল্পনা করে ছকে ফেলেছিলেন সোনম। পুলিশি তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, দু বছর আগেই রাজের সঙ্গে পরিচয় হয় সোনমের ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *