স্কুলছাত্রীকে মাদক মেশানো চকোলেট খাইয়ে ধর্ষণ

Spread the love

চকোলেটে মাদক মিশিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় অভিযুক্ত টোটো চালককে দোষী সাব্যস্ত করে ২৫ বছরের কারাদণ্ড পেল জলপাইগুড়ির একটি বিশেষ পকসো আদালত। আদালতের বিচারক রিন্টু শূর বুধবার এই রায় দেন। অভিযোগ দায়েরের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়, যা এই মামলাকে উল্লেখযোগ্য করে তুলেছে।

জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ১৩ বছর বয়সি ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার জন্য একটি টোটোয় ওঠে। ওই টোটো চালক ছাত্রীর পূর্বপরিচিত। কিন্তু, চালক তাকে স্কুলে না নিয়ে তিস্তা উদ্যানের কাছে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে সে মেয়েটিকে মাদক মিশ্রিত চকোলেট খেতে দেয়। যার প্রভাবে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে চালক তাকে তিস্তা বাঁধের কাছে একটি ঝুপড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

৮ ফেব্রুয়ারি মেয়েটির মা তার স্কুলব্যাগ থেকে প্রেগন্যান্সি কিট পাওয়ার পর ঘটনা ফাঁস হয় এবং জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং মাত্র ছয় দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এক মাসের মধ্যে শুরু হয়, যা দ্রুত বিচারের পথ প্রশস্ত করে।

বিচারক রিণ্টু শূরের রায়ে অভিযুক্ত টোটোচালককে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় শুনে মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার উমেশ গণপত বলেন, পকসো মামলায় এত দ্রুত সাজা আদায় একটি ঐতিহাসিক সাফল্য। মামলার সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানান, ধর্ষণের পর চালক মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে ঘটনা গোপন করতে বলে। তবে শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই মামলায় দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া ও কঠোর শাস্তি শিশু নির্যাতন ও নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *