স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে তরুণীর শরীরে ১৮ বার কোপ

Spread the love

ফের এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘিরে খবরের শিরোনামে উঠে এল উত্তর প্রদেশ। উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদের এক গ্রামে এক ক্ষেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে এক তরুণীর দেহ। জানা যাচ্ছে, তাঁর শরীরে বেশ কিছু ক্ষত রয়েছে স্ক্রু ড্রাইভারের। ১৮ বার তাঁকে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কোপানে হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তাঁর প্রেমিকের দিকে।

ঘটনা শনিবারের। বিকেলের পরও মেয়ে ঘরে না ফেরায় উদগ্রীব হয়ে ওঠেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা সমস্ত জায়গা খুঁজতে থাকেন। সব জায়গা ঘুরে দেখেন। তবে খোঁজ মেলেনি মেয়ের। পরের দিন ক্ষেতে ঢুকতেই উদ্ধার হয় ওই তরুণীর দেহ। দেখা যায়, রক্তক্ত অবস্থায় দেহ পড়ে রয়েছে ক্ষেতে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। তবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হননি তরুণী। তবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে, ওই তরুণীকে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। কোপানো হয়েছে একাধিক বার।

এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। তরুণীর মোবাইল উদ্ধার হতেই পুলিশের সন্দেহ জাগে একটি বিশেষ নম্বর ঘিরে। পর পর ওই নম্বর থেকে আসা ‘মিসড কল’ পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপরই পুলিশ খোঁজ করে ওই নম্বর কার, তা জানতে। জানা যায়, স্থানীয় এক যুবকের ওই ফোন নম্বর রয়েছে। এরপর ওই যুবক পর্যন্ত পৌঁছে যায় পুলিশ। ওই যুবক একই গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে, ততক্ষণ ওই যুবককে চিনতে পারে মৃতার পরিবার। মৃতার মা জানান, ওই যুবক, খুবই উত্যক্ত করত ওই তরুণীকে। অভিযোগ পেতেই পুলিশ ওই যুবককে আটক করে। এরপর শুরু হয় জেরা। জেরার মুখে যুবক স্বীকার করে নেয় যে সেই খুন করেছে।

ধৃত যুবক পুলিশকে জানায়, সে ওই তরুণীকে পছন্দ করত। তবে তরুণী তাতে আমল দেয়নি কোনও দিনওই। একটা সময় এক যুবককে দিয়ে ওই তরুণী তাকে মারও খাইয়েছে বলে জাবি করেছে ধৃত। তার সন্দেহ হয়, যে যুবক তাকে মেরেছে সেই যুবকের সঙ্গে তরুণীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই রাগের জেরেই এই খুন বলে অনুমান। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে যখন স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কোপাতে থাকে যুবক, তখন তরুণী প্রাণ ভিক্ষা করতে থাকে। জেরার মুখে ধৃত জানিয়েছে, ঠিক তখনই তরুণীর গোপনাঙ্গে স্ক্রুড্রাইভার ঢুকিয়ে তাকে খুন করে সে। এখানেই শেষ নয়। পুলিশ বলছে, খুনের পর স্নান করে, জামা কাপড় পাল্টে অভিযুক্ত বেশ কিছুক্ষণ ঘুমিয়েও ছিল। আপাতত ধৃতকে ঘিরে তদন্ত জারি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *