স্টোকসের সঙ্গে বুমরাহ-র তুলনা করা উচিত নয়

Spread the love

লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস দীর্ঘ স্পেল করার পর থেকেই ওয়ার্কলোড নিয়ে জসপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে ইংলিশ তারকার তুলনা শুরু হয়ে গেছে। ভারতীয় পেসারের ওয়ার্কলোডের কারণে তাঁকে অতিরিক্ত বোলিং করান না গিল। আরও সহজ ভাষায় বললে, বুমরাহকে ছোট ছোট স্পেলে ব্যবহার করে থাকে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর্চার, স্টোকসরা যেমন টানা স্পেল করতে পারেন, বুমরাহকে দিয়ে তা করানো হয় না। আর এমনিতেও সিরিজ শুরুর আগেই নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর এবং কোচ গৌতম গম্ভীর জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে বুমরাহর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে তাঁকে পাঁচ টেস্টের মধ্যে তিনটি টেস্টে খেলানো হবে।

আসলে লর্ডস টেস্টের পঞ্চম দিনে স্টোকস একাই ১৯.২ ওভার বোলিং করেন, সেই সুবাদেই তিনি ম্যাচের সেরা হন, ইংল্যান্ডও ২২ রানে টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যায়। স্টোকস কিন্তু সব ম্যাচেই খেলেছেন, সেখানে বার্মিংহ্যামে বুমরাহ বিশ্রাম পেয়েছিলেন। তাও তাঁকে লর্ডসে দীর্ঘ স্পেল করানো হয়নি, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই এবার আসরে নামলেন ভারতীয় দলের কোচিং স্টাফের সদস্য রায়ান টেন দুশখাতে। আসেল লর্ডসে দ্বিতীয় ইনিংসে জো রুট আসার আগে পর্যন্ত বুমরাহকে তেমন বোলিংও করানো হয়নি।

রায়ান টেন দুশখাতে বলছেন, ‘বেন স্টোকস অসাধারণ কাজ করেছে টেস্টের শেষদিনে এসে অতগুলো ওভার বোলিং করেছে, একইরকমের তেজ এবং একাগ্রতা নিয়ে। এছাড়াও ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়েও ও সেরাটাই দিয়েছে। কিন্তু আমার আমাদের বোলারদের সঙ্গে কারোর তুলনা করি না অন্য দলের। আমাদের বোলিং ইউনিটের নিজস্ব শক্তি আছে, আমরা দেখেছি যে জসপ্রীত বুমরাহ ছোট ছোট স্পেলে বেশি সফল হয়, আর ও নিজেও সেটাই করতে পছন্দ করে ’।

দুশখাতে আরও বলেন, ‘সঠিক সময়ই আমরা সঠিক বোলারদের ব্যবহার করেছি। কিছু কিছু বোলার থাকে যারা সপ্তম, অষ্টম ওভার নাগাদ নিজের সেরাটা দিতে পারে একটা ছন্দে আসার পর। সবার ক্ষেত্রে সেটা নয়। তাই বুমরাহ-র সঙ্গে কথা বলেই দলের স্বার্থে তাঁকে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু বুমরাহ-র ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করলেই হবে না, সিরাজের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কারণ ও সব সময়ই অতিরিক্ত বোলিং করার জন্য তৈরি রয়েছে, যেমন স্টোকস করেছিল লর্ডসের পঞ্চম দিনে। তাই সিরাজের মতো একজনকে দলে পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। হয়ত সবাই যেটা চায় ওর থেকে সেটা ও ফিরিয়ে দিতে পারছে না, কিন্তু ও সিংহহৃদয়ের ক্রিকেটার। যেটা বোলিং অ্যাটাকে অনেক আত্মবিশ্বাস এবং শক্তি এনে দেয়। ওর হাতে বল উঠলেই কিন্তু মনে হতে থাকে, যে এবার কিছু একটা হতে চলেছে ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *