স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বসু রাশিয়ান ‘গুপ্তচরের কন্যা’? উধাও সন্তান সহ

Spread the love

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বড় স্বস্তি পেলেন হুগলির চন্দননগরের সৈকত বসু। এই মামলা ঘিরে অভিযোগ রয়েছে সৈকত বসুর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া ও তাঁদের সন্তানের হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া ঘিরে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট, বিদেশমন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে ওই নিখোঁজ রাশিয়ান মহিলা ও সন্তানকে খুঁজে বের করতে ‘লুক আউট নোটিস’ জারি করা হয়।

গত ৭ জুলাই থেকে ‘নিখোঁজ’ রাশিয়ান মহিলা তথা সৈকত বসুর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া। তাঁদের ডিভোর্সের প্রক্রিয়া চলছে। এরই মাঝে হঠাৎ সন্তানকে নিয়ে নিখোঁজ হন ভিক্টোরিয়া। অভিযোগ, তাঁকে শেষবার দিল্লির রাশিয়ার দূতাবাসে দেখা যায়। তিনি সেখানে পিছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিল মালপত্রও। এই মাসের প্রথমের দিকে দেখা গিয়েছিল ভিক্টোরিয়াকে। এরপর থেকে ভিক্টোরিয়ার খোঁজ নেই। অভিযোগ, ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে এক রাশিয়ান দূতাবাসের কর্মী ছিলেন। এদিকে, টিসিএস-এ কর্মরত সৈকতের আশঙ্কা, ছেলেকে নিয়ে সম্ভবত ভারত থেকে রাশিয়ায় রওনা হয়ে গিয়েছেন ভিক্টোরিয়া।

এই মামলা ঘিরে ভিক্টোরিয়া বসুর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ তার রায়ে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেয়, ‘কোনও সময় নষ্ট না করে খুঁজে বের করুন নিখোঁজ সন্তানকে’, এবং তার ‘কাস্টাডি’ ছেলেটির বাবার হাতে তুলে দিন। জানা যাচ্ছে, ‘কাস্টডিয়াল ডিল’ অনুসারে ভিক্টোরিয়া ও সৈকতের ছেলে তার মায়ের সঙ্গে থাকছিল। মামলা ঘিরে ভিক্টোরিয়ার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, তিনি জানেন না তাঁর মক্কেল কোথায়। শুনেই কোর্ট বলে, ‘ আপনারা সব জানেন… আপনারা ভাবছেন আমাদের সঙ্গে খেলা করবেন?’ উল্লেখ্য, সৈকত ও ভিক্টোরিয়ার ডিভোর্সের মামলা দিল্লির সকেতের ফ্যামিলি কোর্টে চলছে।

২০১৭ সালে ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে বিয়ে সৈতকের। তাঁদের পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসুর দাবি, তিনি বিয়ের পর জানতে পারেন, ভিক্টোরিয়া, রাশিয়ার প্রাক্তন গুপ্তচরের মেয়ে। উল্লেখ্য, সৈকত বসুর বাবা সমীর বসু নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, বসু পরিবারের পূত্রবধু হয়ে আসা ভিক্টোরিয়ার বিয়ের পর থেকেই দাবি ছিল, তাঁকে ফোর্ট উইলিয়ামে নিয়ে যেতে হবে। এদিকে, বহু ঘটনা প্রবাহের পর এবার নিজের সন্তানকে উদ্ধার করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সৈকত। সেই মামলাতেই এল বড় নির্দেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *