ভারত, পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে উঠে আসছে মোহসেন লঙ্গারনেশিনের ফাঁসি ঘিরে তথ্য। ইরানে তাঁকে সদ্য ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের মিডিয়া। জানা যাচ্ছে, ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা ‘মোসাদ’র হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ রয়েছে মোহসেনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মোহসেনের নাম জড়িয়েছে এক খুনের ঘটনার সঙ্গেও। তারপরই সদ্য ইরানে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
‘দ্য গার্ডিয়ান’র তথ্য বলছে, ৩৬ বছর বয়সী মোহসেন ছিলেন প্রাক্তন তথ্য প্রযুক্তি কর্মী। আইআরএনএ নিউজ এজেন্সির খবর অনুযায়ী, ইজরায়েলের মোসাদের সিনিয়র ‘স্পাই’ গুপ্তচর হিসাবে কাজ করতেন মোহসেন। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ‘ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস’র কর্নেল হাসান সইদ খোদায়েইকে খুনে সহযোগিতার অভিযোগ। এই হাইপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ড হয়েছিল ২০২২ সালে। তেহরানে কর্নেল খোদায়েইকে দিনে দুুপুরে তাঁর বাড়ির সামনে মোটরবাইকে চড়ে ২ জন এসে গুলি করে খুন করে।
আইআরএনএ-র তথ্য বলছে, খোদায়াই হত্যাকাণ্ডে প্রযুক্তিগতভাবে ইজরায়েলের মোসাদকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ ছিল মোহসেনের বিরুদ্ধে। রিপোর্টের তথ্য বলছে, ইজরায়েলের গোয়েন্দা বিভাগের তাবড় অফিসারদের সঙ্গে নেপাল, জর্জিয়াতে দেখা করেছিলেন মোহসেন। ইজরায়েলি গুপ্তচরদের জন্য ইরানের ইসফাহান সহ বহু জায়গায় নিরাপদ বাসস্থান বা ‘সেফ হাউজ’র আয়োজন করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মোহসেনের বিরুদ্ধে।

তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইরানের ইসফাহান শহরে সেনা ছাউনিতে ড্রোন হামলার নেপথ্যেও মোহসেনের কর্নকাণ্ডের হদিশ পায় ইরান। ইরান সেই হামলার ঘটনায় ইজরায়েলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। এরপর মোহসেন ধরা পড়েন। তাঁকে ইরানের রেভোলিউশনারি কোর্টে তোলা হলে, তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তথ্য বলছে, এই কোর্টে আইনি প্রতিনিধিত্ব নির্দিষ্ট থাকে, আর মিডিয়ারও কম অ্যাকসেস থাকে। ওই কোর্ট বহু কড়া শাস্তি আগেও দিয়েছে রায়ে। এদিকে, মোহসেনের পরিবার দাবি করছে, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে অত্যাচার করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। এমনই দাবি, ‘দ্য গার্ডিয়ান’র রিপোর্টের। আইআরএনএ বলছে, মোসাদ ২০২০ সালে মোহসেনকে তাদের স্কোয়াডে নেয়। এরপর যাবতীয় কর্মকাণ্ডের পর ২০২৩ সালে ইরান গ্রেফতার করে মোহসেনকে। এরপর সদ্য তাঁকে ইরানে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।