মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনম গত ২৩ মে থেকে ছিলেন নিখোঁজ। সদ্য বিবাহিত এই দম্পতি গিয়েছিলেন মেঘালয়ে হানিমুনে। এরপর গত ২৩ মে থেকেই তাঁদের খোঁজ পায়নি পরিবার। অভিযোগ পেতেই তল্লাশিতে নামে প্রশাসন। আজ সোমবার, ২ জুন, রাজার দেহ পচা গলা অবস্থায় মেঘালয়ে উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে মেঘালয়ের সোহরা এলাকায় উদ্ধার হয়েছে দেহ। তবে রাজের স্ত্রী সোনামের খোঁজ এখনও জারি রয়েছে।
মেঘালয়ের পূর্ব খাসি হিলের সোহরা এলাকা যা চেরাপঞ্জী নামে পরিচিত, সেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন সস্ত্রীক রাজ রঘুবংশী। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজেশ কুমার ত্রিপাঠী বলেন,’ সোমবার মেঘালয় পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, যা রাজা রঘুবংশীর বলে শনাক্ত করেছেন তার ভাই বিপিন রঘুবংশী। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সময় এবং অন্যান্য বিবরণ জানা যাবে। সোনম রঘুবংশীর সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ।’ কোথায় রাজের স্ত্রী সোনম? কী ঘটেছে তাঁদের সঙ্গে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। তবে সোনমের খোঁজে রয়েছে প্রশাসন। এদিকে, রাজার বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে, বহু দিন ধরেই রাজার পরিবারের ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা। গত ১১ মে রাজার বিয়ে হয় সোনমের সঙ্গে। তারপর তাঁরা মেঘালয় যান হানিমুনে। আর সেখানে যেতেই গত ২৩ মে থেকে হদিশ মেলেনি ২ জনের।

রাজার ভাই সচিনের দাবি, সম্ভবত, দম্পতিকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরিবারের দাবি, সোনমকে খুঁজতে যেন সেনা মোতায়েন করা হয়। পরিবারের আশঙ্কা, সেখানের স্থানীয় হোটেলের কর্মীরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। সমস্ত দিক খতিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে এই ভয়াবহ মৃত্যু ঘিরে। এদিকে, সোনমের হদিশ পেতে মরিয়া প্রশাসন। কী ঘটেছে তাঁদের সঙ্গে তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।