হতাশায় কি ভুগছিলেন সৃ্ঞ্জয়?‌

Spread the love

আজ মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই খবর আসে দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এই খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। আজ, মঙ্গলবার তাঁর রহস্যমৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে বাড়িতে এবং হাসপাতালে। প্রথমে রিঙ্কুর একমাত্র ছেলেকে বিধাননগর সেবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রীতম আত্মহত্যা করেছেন। তার সঙ্গেই উঠে আসছে হতাশার তথ্য এবং নেশা করার তথ্য।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে ঘরে প্রীতম থাকতেন সেই ঘরে খাটের উপর শায়িত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সোমবার একটি পার্টি চলছিল। তারপরেই এই ঘটনা সামনে এসেছে। এটা আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিঙ্কু মজুমদার। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। মা রিঙ্কু বিয়ে করে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে সৃঞ্জয় সাপুরজি আবাসনে একাই থাকতেন। সেখানেই আজ সকালে দেহ উদ্ধার হয় প্রীতমের।

আর একটি সূত্রে পাওয়া খবর, নানা নেশার কবলে পড়েছিলেন সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম। ইদানিং নাকি তাঁকে কেউ বা কারা কটূক্তি করত। তা থেকেই নেশার মাত্রা বাড়তে থাকে। সেটা মা রিঙ্কু মজুমদার জানতে পেরে প্রীতমের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অশান্তিও হয়েছিল মা–ছেলের মধ্যে। ছেলেকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন রিঙ্কু। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। সাপুরজি আবাসনের ই ব্লকের দোতলায় থাকতেন প্রীতম দাশগুপ্ত। এখানেই পার্টি ছিল। বেশ কয়েকজন এসেছিলেন। আর সেখানে নানা নেশার ব্যবস্থাও ছিল। মা রিঙ্কু দিলীপ ঘোষের বাড়িতে থাকতেন। মায়ের বিয়ে নিয়ে প্রীতমের আপত্তি ছিল না। বরং খুশিই হয়েছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মায়ের বিয়ের পর থেকেই সৃঞ্জয়ের নেশা আরও বাড়তে থাকে। কারও নিষেধই শোনেননি তিনি। চিকিৎসকরা অনুমান করছেন, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার জেরে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে সৃঞ্জয়ের। তবে কোনও সরকারি দাবি এখনও উঠে আসেনি। ঠিক কী কারণে মৃত্যু, কেমন করে মৃত্যু সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। নিউটাউনের সাপুরজি আবাসন থেকে দেহ উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সত্যিই নেশার জেরে সৃঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই স্পষ্ট হবে। সৃঞ্জয়ের মোবাইল বালিশের পাশে ছিল। তার পাশে বেশ কিছু ওষুধও মিলেছে। আজ দুর্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল সৃঞ্জয়ের। তাই রাত ১১টা নাগাদ রিঙ্কু মজুমদারের দূঃসম্পর্কের মামার সঙ্গে কথা হয়েছিল সৃঞ্জয়ের বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *