১৯৮৯ সালে তাঁর প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ব্লকবাস্টার হওয়ার পরপরই হিমালয় দাসানিকে বিয়ে করে ফেলেছিলেন ভাগ্যশ্রী। তারপর থেকে একসঙ্গে ৩৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন ভাগ্যশ্রী ও হিমালয়। তবে বিয়ের ৩৫ বছর পর অবশেষে স্ত্রীকে প্রেম নিবেদন করলেন হিমালয় দাসানি।
অপ্রত্যাশিতভাবে, হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন হিমালয়, আর তা দেখে অভিনেত্রী তখন আনন্দে আপ্লুত। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই স্বপ্নের ছবিগুলি শেয়ার করেছেন ভাগ্যশ্রী। যে ছবিতে হলুদ রঙের ফ্লাওয়ার প্রিন্টেড সুন্দর একটি শাড়িতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে। তার বেনী করা চুলে সাদা জুঁই ফুলের মালা। ছবিগুলি পোস্ট করে ভাগ্যশ্রী লিখেছেন, ‘স্বামীর প্রেম নিবেদন!
গোপন কথা ফাঁস করলাম… হিমালয়কে একজন রোমান্টিক স্বামী হিসেবে সকলে ভাবলেও উনf আগে এমনটা ছিলেন না। আমি তাঁকে অনেকবার বলছিলাম যে তুমি প্রকৃতপক্ষে আমাকে কখনও প্রেম নিবেদন করেননি। আমি তখন একটা ফটোশুটের মাঝখানে ছিলাম। হঠাৎই অবাক করে দিয়ে আমাদের ওই গানটি গেয়ে থামিয়ে দিলেন। (এই সংস্করণটি শুনলে দিলজিৎ কেঁদেই ফেলতেন) কিন্তু হ্যাঁ! স্বামী অবশেষে হাঁটু গেড়ে বসে প্রেম নিবেদনের সিদ্ধান্ত নিলেন।’
তিনি ছবিগুলোর সঙ্গে ‘কভি উসে নুর নুর কেহতা হুঁ’ গানটি ব্যবহার করেছেন।

নেটিজেনরা এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ভাগ্যশ্রী ও হিমালয়কে সুখী দম্পতি হিসাবে দেখে আনন্দিত। এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘এক নিখুঁত বন্ধন, ঈশ্বর প্রদত্ত, পূর্ব জীবনের কর্মের ফল, ঈশ্বর আপনার এবং আপনার পরিবারকে দীর্ঘ সুখী জীবন দান করুন।’ অন্য একজন অনুরাগী লিখেছেন, ‘একে অপরের জন্য তৈরি, আমি তোমাদের উভয়কেই ভালোবাসি, অগণিত’। তৃতীয় একজন লেখেন, ‘চিরন্তন বন্ধনে আবদ্ধ’। চতুর্থ একজন মন্তব্য করেছেন, ‘একে অপরের প্রতি আপনার ভালবাসা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা।’
ভাগ্যশ্রী হিমালয়কে ১৯৮৯ সালে তাঁর প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সুপার হিট হওয়ার পরপরই ১৯৯০ সালে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। তাঁদের ছেলে অভিমন্যু দাসানি ২০১৯ সালে ‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’ বলিউডে পা রাখেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা নবাগত অভিনেতা হিসাবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জিতেছেন অভিমন্যু। তাঁদের মেয়ে অবন্তিকা দাসানি ২০২২ সালে ‘মিথ্যা’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। মনস্তাত্ত্বিক সিরিজে হুমা কুরেশি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রজত কাপুর এবং সমী