হাওড়াতে চরম ভোগান্তি বুধেও! সাঁতরাগাছির জের

Spread the love

বুধবারও যাত্রী ভোগান্তি কমল না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনেই বসে থাকলেন যাত্রীরা। বুধবারও খড়্গপুর লাইনে যাত্রী ভোগান্তি হয়েছে। একে প্রচন্ড গরম। তার উপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকলেন যাত্রীরা। চরম ভোগান্তি।আসলে সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন ও রেল ইয়ার্ডকে উন্নত করার জন্য় কাজ করা হচ্ছে। গত ৩০এপ্রিল থেকে এই স্টেশনের প্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে। এর জেরেই একের পর এক ট্রেন বাতিল। আর তার মাশুল দিলেন একের পর এক যাত্রী। সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে সিগনাল সিস্টেমের সমস্যাও এই বিপত্তির অন্য়তম কারণ।

মঙ্গলবার যাত্রী ভোগান্তি একেবারে চরমে উঠেছিল। বুধবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু একাধিক ট্রেন বাতিলের জেরে পুরোপুরি সমস্যা মেটেনি।

বুধবারও হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী, হাওড়া দিঘা, দিঘা হাওড়া, পুরুলিয়া এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া ফলকনামা এক্সপ্রেস সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন অনেক দেরিতে ছেড়েছে। রেলের অনুসন্ধান অফিসে বার বার গিয়েছেন উদ্বিগ্ন যাত্রীরা।

এক যাত্রী বলেন, বেঙ্গালুরু যাচ্ছি ডাক্তার দেখাতে। প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে। সকাল ১০টা ৪০ এ ট্রেন ছিল। এখন বলছে তিনটের সময় আসবে। আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।

অপর এক যাত্রী বলেন, নবদ্বীপ থেকে আসছি। চেন্নাই যাব। চেন্নাই মেল ১২ ঘণ্টা লেট। ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছি। খুব সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। অপর এক যাত্রী বলেন, ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। বালুরঘাট থেকে এসেছি। রোগী নিয়ে এসেছি। খুব ভোগান্তি। খুব অসুবিধা হচ্ছে। একে প্রচন্ড গরম। তার উপর এই ভোগান্তি। হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এমার্জেন্সি রোগী নিয়ে যাচ্ছি। রেলের তরফ থেকে কেউ আসেনি। রেল কোনও খোঁজ নেয়নি। আমাদের জিনিসপত্র কিনে খেতে হচ্ছে। কখন ট্রেন আসবে কেউ বলতে পারছে না। অপর এক যাত্রী বলেন, ট্রেন আসছে না। মহিলারা রয়েছেন। খুব সমস্যায়। রেলে এত দেরি সাধারণত হয় না। চেন্নাইতে চিকিৎসককে দেখানোর কথা আছে। কিন্তু সেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করতে হচ্ছে। কী করব বুঝতে পারছি না। যাত্রী হয়রানি দূর করতে রেলের আর একটু সজাগ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। না হলে যাত্রীদের অত্যন্ত সমস্যা হয়। এটা দেখা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *