যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি শতাধিক অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। অভিযোগ ছিল, ওই ভারতীয়দের হতকড়া ও শিকল পরিয়ে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে বেশ তোপের মুখেই পড়ে ভারত সরকার। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন নরেন্দ্র মোদি। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অভিবাসনের বিষয়টি তুলতে পারেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকে কী কী বিষয় প্রাধান্য পাবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প-মোদির বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার শুল্ক-বাণিজ্য ইস্যুই বেশি গুরুত্ব পাবে। তবে আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়টিও উঠে আসতে পারে আলোচনায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, যেসব অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে, তাদের সঙ্গে যেন মানবিক আচরণ করা হয়; ট্রাম্পকে সেই অনুরোধ জানাতে পারেন মোদি। তবে, তাদের আলোচ্যসূচিতে আসলেই এমন কিছু আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে ১০৪ অবৈধ ভারতীয়কে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় তাদের সবার হাতকড়া দেয়া ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
জানা যায়, আগামীতে আরও অন্তত ৮০০ অবৈধ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ভারতের প্রায় আট লাখ অভিবাসী আছেন। যার মধ্যে ২০ হাজারই অবৈধ। তাদের সবাইকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠালেও, কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসিয়েছেন ট্রাম্প। যার সবশেষ উদাহরণ এস পল কাপুর।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে পল কাপুরকে। অর্থাৎ, ডোনাল্ড লু’র স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।
কালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা পল কাপুর ভারত ও পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত। পাকিস্তানের কট্টর সমালোচক হিসেবেও পরিচিত তিনি।