হানিমুনে যাওয়ার টাকা না পেয়ে ট্রেনের নিচে নবদম্পতি

Spread the love

হানিমুনে যাওয়ার জন্য টাকা না পেয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এক নবদম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে।আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় পুলিশ। তারা জানিয়েছে, মিল্লাত টাউন থানার আওতাধীন ২০২ রব ভাইওয়ালা আদিল টাউনের বাসিন্দা এবং ৩৪ বছর বয়সি পাওয়ার লুম শ্রমিক সাজিদ প্রায় আড়াই মাস আগে রাজিয়া বিবিকে (৩০) বিয়ে করেছিলেন।

জানা যায়, ঈদের পর মধুচন্দ্রিমার জন্য ওই দম্পতি নারানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য সাজিদ তার বড় ভাই ফাহাদ এবং জাহিদের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেই টাকার ব্যবস্থা করতে পারেননি।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১০ জুন) ভোরে সাজিদ তার স্ত্রী রাজিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে চেয়ারম্যান স্টপের কাছে ভাইওয়ালা রেলক্রসিংয়ে যান। পরে সে তার ভাই জাহিদকে ফোন করে বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর সাথে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি। আমাদের মৃতদেহগুলো নিয়ে যেও।’ 

ফোন কলের পরই সাজিদ ও তার স্ত্রী রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। ঠিক সেই মুহূর্তে লাহোর থেকে করাচিগামী বদর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এসে পৌঁছায় এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেন। মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। সাজিদের বড় ভাই জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পথচারীদের সহায়তায় তাদের দেহাবশেষ সংগ্রহ করেন। পথচারীরা পুলিশে খবর দেন। 

ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে মিল্লাত টাউন পুলিশ। তারা জানায়, মৃত ব্যক্তি একটি পাওয়ার লুমে কাজ করতেন এবং আড়াই মাস আগে রাজিয়া বিবিকে বিয়ে করেছিলেন। সাজিদ হানিমুনের জন্য যে টাকা চেয়েছিলেন, তার ভাইয়েরা তা দিতে না পারায় হতাশ হয়ে এই দম্পতি আত্মহত্যা করেন।

এদিকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ওই দম্পতিকে আলাদা থাকতে বাধ্য করেছিল তাদের পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *