১০ বছরের সন্তানকে খুন করল মায়ের প্রেমিক! স্যুটকেসে মিলল দেহ

Spread the love

পথের কাঁটা সরাতে ১০ বছরের সন্তানকে খুন। আর তারপর দেহ স্যুটকেসে ভরে ফেলে দেওয়া হল ঝোপে। এমনই হাড়হিম ঘটনা ঘটল এবার অসমের গুয়াহাটিতে। এই অভিযোগে পুলিশ মৃত নাবালকের মা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে রবিবার নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার আগে শনিবার মহিলা নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে সন্তানের বিষয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। জানা যায়, দীপালি রাজবংশী নামে ওই মহিলার ১০ বছরের সন্তান মৃন্ময় রাজবংশী শনিবার বেলতলা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর শনিবার দিসপুর থানায় দিপালী নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, টিউশন পড়ে আর বাড়ি ফেরেনি সন্তান। এরপরেই পুলিশ খোঁজখবর শুরু করে দেয়।

তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন মহিলা। তবে জিতুমণি হালোই নামে অন্য এক যুবকের সঙ্গে মহিলার বিবাব বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদে জিতুমণি খুনের কথা স্বীকার করেন। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে নাবালকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ মৃণাল ডেকার জানিয়েছেন, জিতুমণি শনিবার মৃন্ময় রাজবংশীকে টিউশনের পরে অপহরণ করে নিয়ে যান এবং পরে তাকে খুন করেন। রাতের অন্ধকারে অভিযুক্ত বশিষ্ঠ এলাকায় রাস্তার পাশে স্যুটকেসে ভরে দেহ ফেলে দেয়। পুলিশের অনুমান, দীপালির সহায়তায় জিতুমণি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই তিনি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ দীপালিকেও আটক করেছে। যদিও হত্যাকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা কী ছিল, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বেলতলার জাতীয় নবোদয় স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মৃন্ময় তার মায়ের সঙ্গে সিক্স মাইল এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত। মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযুক্তকে সেই স্থানে নিয়ে যায় যেখানে মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে নাবালকের স্কুল ব্যাগও উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, জিতুমণি কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে গ্রুপ ডি কর্মী। আর দীপালি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *