‘১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে পাকড়াও’ আইএএস অফিসার

Spread the love

ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় পাকড়াও আইএএস অফিসার। এমনই দাবি করা হল। রবিবার ওই আইএএস অফিসারকে গ্রেফতার করেছেন ওড়িশা ভিজিল্যান্সের অফিসার। ধৃতের নাম ধীমান চাকমা। ২০২১ সালের ব্যাচের ওই অফিসার কালাহান্ডি জেলার ধর্মগড়ে সাব-কালেক্টর। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এক ব্যবসায়ীর থেকে মোট ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন ধীমান চাকমা। প্রথম দফায় ১০ লক্ষ টাকা পাঠানোর কথা ছিল আইএএস অফিসারকে। রবিবার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমলার সরকারি কোয়ার্টারে ফাঁদ পাতেন তদন্তকারীরা। ব্যবসায়ীর কাছ ওই টাকা সংগ্রহ করেন আমলা। এরপরে ওড়িশা ভিজিল্যান্স দফতরের জালে ধরা পড়েন অভিযুক্ত আইআরএস অফিসার। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকেরা। পাশাপাশি আইএএস অফিসারের সরকারি বাসভবনে তল্লাশির সময় ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা ৪৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন। তাঁর টেবিলের ড্রয়ার থেকে টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। তন্তকারীরা এখনও তাঁর কোয়ার্টারে তল্লাশি চালাচ্ছে।

ওড়িশা ভিজিল্যান্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা চাকমা। আগরতলার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি) থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পরে তিনি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে ভারতীয় বন পরিষেবা (আইএফএস) অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এরপর তিনি আইএএস অফিসার হন।

দিনকয়েক আগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ওড়িশার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডেপুটি ডিরেক্টর চিন্তন রঘুবংশীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার ওড়িশার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই আধিকারিক। ২০১৩ সালের আইআরএস অফিসার রঘুবংশী বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরের এক খনিজ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে চলেছেন, এমন খবর ছিল সিবিআইয়ের কাছে। সেদিনই তাঁকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রতিকান্ত রাউত নামে ওই ব্যবসায়ী একটি পাথর খনির ব্যবসা করেন। তাঁর কাছ থেকে রঘুবংশী ৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ। রাউতের বিরুদ্ধে ইডি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রঘুবংশী ওই পরিমাণ টাকা দাবি করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *