‘১০-১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে!’ 

Spread the love

‘প্রায় ১০-১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।’ ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রত্যাঘাতের ভয়াবহতার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদের বাসিন্দারা। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গিহানার জবাবে মধ্যরাতে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর এই হামলার জেরে পাকিস্তানে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ইতিমধ্যে জানিয়েছে ইসলামাবাদও।এবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছে পাকিস্তানের মাটিতে নিখুঁত নিশানায় ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা।

অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রত্যাঘাতে আতঙ্কিত পিওকে-র বাসিন্দারা

মধ্যরাতের ভারতের ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের কথা কিছতেই ভুলতে পারছেন না অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদের বাসিন্দারা। মুজফ্‌ফরাবাদের বাসিন্দা আহমেদ আব্বাসি জানান, ‘হঠাৎ করেই গোলাবর্ষণ শুরু হয়ে গেল। আমার মনে হয় এখানে প্রায় ১০-১৫টা ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।’ওই বায়াত-উল-মুজাহিদিন মাদ্রাসা উপকণ্ঠে নীলম রোড এলাকায় অবস্থিত। এটি আদতে লস্করের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র-রসদ সরবরাহে ব্যবহৃত সওয়াই নালা ক্যাম্প বলে ভারতীয় সেনার দাবি। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের আগে এখানেই আশ্রয় নিয়েছিল লস্করের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর বাহিনী। ২৬/১১ মুম্বই হামলার জঙ্গি আজমল কাসাব প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এখানেই। দ্বিতীয়টি তার অদূরের মারকাজ সঈদনা বিলালে আর এক পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির।

এদিকে পাকিস্তানের সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের ছ’টি জায়গায় ভারতের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৬ জন। তাঁর কথায়, ভারতের হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বহাওয়ালপুরের আহমেদপুর ইস্ট শহরে। সেখানে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৩৭ জন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়। জেনেশুনে সেই দেশে লুকিয়ে রাখা হয় সন্ত্রাসবাদীদের। পহেলগাঁওয়ের হামলার পর দেশের নানা প্রান্তে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই তার পর ভারত সরকার কিছু পদক্ষেপ করে। কিন্তু তার পরেও পহেলগাঁওয়ের ঘটনার জন্য ন্যায়বিচার আবশ্যক ছিল। ওই ঘটনার পরেও পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্টে ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করছে। আমাদের কাছে খবর ছিল, ভারতের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও হামলা হতে পারে। তাই এই প্রত্যাঘাত আবশ্যক ছিল। ভারত নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করেছে জবাব দিতে। সন্ত্রাসবাদের কাঠামোকে ধ্বংস করতেই এই হামলা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *