১১৫ বছর বয়সী এথেল তার দীর্ঘ জীবন নিয়ে রহস্য

Spread the love

১৯০৯ সালের ২১ আগস্ট, ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাম শিপটন বেলিঞ্জারে জন্ম এথেলের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পাঁচ বছর আগে তার জন্ম—সময়ের সাক্ষী হিসেবে তিনি দেখেছেন শতবর্ষী ইতিহাসের নানা বাঁকবদল। আট ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় কনিষ্ঠ।এথেল ক্যাটারহ্যামের কাছে দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য খুব একটা জটিল কিছু নয়। ১১৫ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নারী বলেছেন, ‘আমি কারো সঙ্গে কখনো তর্ক করি না। শুধু শুনি, আর নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করি।‘ খবর এপি।


লন্ডনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সারের একটি নার্সিং হোমে বসে এথেল যখন কথাগুলো বলছিলেন, তখন তিনি এক অনন্য কীর্তির অধিকারী—বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী জীবিত মানুষ। ব্রাজিলের ১১৬ বছর বয়সী সন্ন্যাসিনী ইনা কানাবারো মারা যাওয়ার পরই এই বিরল সম্মান আসে এথেলের।


তরুণ বয়সেই ভ্রমণের প্রতি ছিল তার গভীর আকর্ষণ। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯২৭ সালে তিনি ব্রিটিশ এক পরিবারে ‘ন্যানি’ হিসেবে কাজ করতে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে তিন বছর কাটিয়ে ফিরে আসেন ইংল্যান্ডে।


১৯৩১ সালে এক ডিনার পার্টিতে তার সঙ্গে পরিচয় হয় নরম্যান ক্যাটারহ্যাম-এর, যিনি ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন মেজর। পরে তারা একসঙ্গে হংকং ও জিব্রালটারে পোস্টিংয়ে যান। তাদের দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয় এবং পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যেই জীবন গড়ে তোলেন তারা। নরম্যান মারা যান ১৯৭৬ সালে।


ক্যাম্বারলির ‘হলমার্ক লেকভিউ লাক্সারি কেয়ার হোম’-এ এখন বাস করছেন এথেল। সম্প্রতি এই নার্সিং হোম তার ১১৫তম জন্মদিনে কেক কাটা ও ‘১১৫’ লেখা টায়রা পরা এথেলের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে বলে—‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হওয়ায় লেকভিউর বাসিন্দা এথেলকে অসংখ্য অভিনন্দন! এটি এক অবিশ্বাস্য মাইলফলক এবং সত্যিকার অর্থেই একটি অনুপ্রেরণামূলক জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি। আপনার শক্তি, প্রজ্ঞা ও প্রাণশক্তি আমাদের সবার জন্য উদাহরণস্বরূপ।’


এথেল ক্যাটারহ্যাম এখন জীবিতদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক হলেও সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বয়সের মানুষের রেকর্ড এখনো ফরাসি নারী জ্যান কালমেন্টের দখলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *