১৪ ঘণ্টা শ্যুটিং! অভিনয়ের চাপে পড়াশোনা করা কঠিন হচ্ছিল

Spread the love

‘অনুরাগের ছোঁয়া’ দিয়ে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রেখেছেন প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে সাইনা। যদিও অভিষেক-সংযুক্তা কন্যা এখনও স্কুলে গণ্ডি পার করেনি। এরই মধ্যে অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছে সে। বাবার মতোই অভিনয়কেই পেশা করতে চায় সাইনা। একথা আগেই জানিয়েছিলেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। এদিকে সাইনার বয়স এখন অনেকটাই কম, আর তাই পড়াশোনা, একই সঙ্গে অভিনয়, দুটোই চালিয়ে নিয়ে যাওয়াতে সমস্যা হচ্ছিল সাইনার। কারণ প্রায় ১৪ ঘণ্টা শ্যুটিং করতে হয় তাঁকে। আর তাই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়।

মেয়ের স্কুল ছাড়িয়ে ‘হোম স্কুলিং’-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। তিনি আনন্দবাজারকে এবিষয়ে জানান, তাঁর বিশ্বাস সবকিছুই আসলে তাঁর প্রয়াত স্বামী অভিষেকই তাঁকে দিয়ে করিয়ে নেন।

আনন্দবাজার-কে এবিষয়ে সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়া’এ খুব কঠিন ছিল। তবে আমার মুম্বইয়ের বন্ধুরা পরামর্শ দিল যে সাইনাকে চাপ না দিয়ে আমি যেন ওকে হোম স্কুলিং করাই। আমিও খোঁজ নিয়ে দেখলাম ব্যাপারটা মন্দ নয়। আর এতে শিশুদের উপর চাপও সৃষ্টি হয় না।’

সংযুক্তার কথায়, তাঁর ও অভিষেকের মেয়ে সাইনা বাবার মতোই অভিনয়কেই পেশা করতে চায়। আর তাই সাইনার কীসে ভালো হবে, সুবিধা হবে, সেকথা ভেবেই সংযুক্তা মেয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হোম স্কুলিং হল বিশেষ শিক্ষা পদ্ধতি, যেখানে বিদেশি বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার শিক্ষকরা অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সুবিধামতো সময়ে তাদের পড়ায়। কিছু কাজও দেয়। যা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করে দিতে হয়। তাতে কোনও শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছাড়াও তাঁর পছন্দের বিষয়গুলির সঙ্গে সহযেই যুক্ত থাকতে পারেন। খানিকটা যেভাবে জোড়াসাঁকোতে ছোট্ট রবির জন্য বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন ঠাকুরবাড়ি গুরুজনেরা। এই বিষয়টা ঠিক তেমনই।

প্রসঙ্গত, হোম স্কুলিং বিষয়টি আমেরিকা, ইউরোপে বেশ জনপ্রিয়। এমনকি মুম্বই, পুণে, বেঙ্গালুরুর মতো শহরেও বহু অভিভাবক হোম স্কুলিং -এর সাহায্যে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শেখাচ্ছেন। যদিও কলকাতায় এখনও এই প্রথার তেমন চল নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *