১৬ বছরের ছাত্রকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন ৪০এর ‘দিদিমণির’

Spread the love

শিক্ষিকার বয়স ৪০। আর ছাত্রের বয়স ১৬। সেই নাবালক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

মুম্বইয়ের একটি নামী স্কুলের ৪০ বছর বয়সি ওই শিক্ষিকা ১৬ বছর বয়সি ছাত্রকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যৌন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। তার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। অভিযোগ, ওই নাবালককে মুম্বইয়ের বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেল ও অন্যান্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে মদ্যপান করানো হ়ত, অ্যান্টি অ্যাংজাইটি পিল খাইয়েও যৌন হেনস্থা করেন ওই মহিলা।

১৬ বছর বয়সি ওই ছাত্রের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, যখন সে পরিবারকে নির্যাতনের কথা জানায়। শিক্ষিকাকে গ্রেফতারের পর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের জন্য নাচের দল নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলাকালীন বিবাহিত শিক্ষিকা ছেলেটির প্রতি আকৃষ্ট হন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত এক মাস পরে তাকে প্রথম যৌন প্রস্তাব দিয়েছিল বলে অভিযোগ।

ছেলেটি প্রথমে অনিচ্ছুক ছিল এবং শিক্ষিকাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এরপরই ছেলেটির মেয়ে বন্ধুদের মাধ্যমে ছাত্রটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ওই শিক্ষিকা। এই সম্পর্ক মেনে নিতে বলে শিক্ষিকা বলেন, আজকাল মহিলা ও কিশোর ছেলেদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই বান্ধবী ছেলেটিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে সে এবং ওই শিক্ষিকা ‘মেড ফর টিচার’। ওই বান্ধবী ওই নাবালককে বলেছিল, বয়স্ক মহিলা ও কিশোর ছেলেদের মধ্যে সম্পর্ক খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। এই মামলায় ওই বান্ধবীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বান্ধবীর অনেক অনুনয়ের পর ওই ছাত্র ওই শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ওই শিক্ষিকা তাকে তার সেডানে তুলে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে জোর করে পোশাক খুলে ফেলেন এবং অত্যাচার করেন৷

অভিযুক্ত শিক্ষিকা কিশোরকে যৌন নির্যাতনের জন্য দামি হোটেলে নিয়ে যাওয়ার পরেই তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয় ওই ছাত্রের মনে। এরপর তিনি তাকে কিছু অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি পিল দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী আরও বলেছিলেন যে শিক্ষিকা প্রায়শই ছেলেটিকে গালিগালাজ করার আগে তাকে মদ্যপান করাতেন। ছেলেটি স্কুল থেকে পাস করেছে এবং শিক্ষিকা এখন তাকে ছেড়ে চলে যাবেন ভেবে পরিবারটি প্রথমে ঘটনাটি সম্পর্কে নীরব ছিল।

তবে, অভিযুক্ত গৃহকর্মীদের মাধ্যমে তার সাথে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে, তাকে তার সাথে দেখা করতে বলে, তখনই পরিবার একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *