তৃণমূলের ২১ জুলায়ের সমাবেশে না গিয়ে বাড়িতে জুয়ার আসর বসিয়েছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনা মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের। জুয়া খেলার অভিযোগে বহরমপুরের মণীন্দ্রনগর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বলাই দত্তসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে।
বহরমপুরের মনীন্দ্রনগর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বলাই দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কর্মী সমর্থকদের গাড়ি ভাড়া করে ধর্মতলায় পাঠিয়ে বানজেটিয়ায় নিজস্ব বাসভবনে জুয়ার আসর বসিয়েছিলেন তিনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে বহরমপুর থানার পুলিশ বাহিনী হানা দেয় তার বাড়িতে। সেখান থেকে অঞ্চল সভাপতি বলাই দত্ত-সহ গ্রেপ্তার করা হয় ৮ জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আটজন ব্যক্তি সেই সময় বাড়িতে বসে জুয়া খেলছিলেন। তাদের কাছ থেকে দু’লক্ষ নগদ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্চল সভাপতি বলাই দত্ত বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আইজুদ্দিন মন্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ উঠেছে আইজুদ্দিনবাবু, বলাই দত্তকে ওই অঞ্চলের সভাপতি পদে নিযুক্ত করেছিলেন। তবে শুধু সোমবারে নয় বলাই দত্ত নিয়মিতভাবে তার বাড়িতে জুয়ার আসর বসান বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এই বিষয়ে গ্রামবাসীরা ওয়াকিফহাল হলেও বলাই দত্ত তৃণমূল নেতা হওয়ার দরুন তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করেননি কেউই। তবে নিয়মিত জুয়ার আসর বসানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের যথেষ্টই ক্ষোভ ছিল তার ওপর।

স্থানীয় বাসিন্দা অনীক দাস জানান, ‘অঞ্চল সভাপতি হিসেবে বলাই দত্তের এলাকায় যথেষ্টই প্রতিপত্তি রয়েছে। তার বাড়িতে প্রতিদিনই চেনা অচেনা মানুষের আনাগোনা লেগে থাকতো। শোনা যায়, নিয়মিতভাবেই তার বাড়িতে প্রতিদিন জুয়ার আসর বসে ও লাখ লাখ টাকার লেনদেন চলে। কিন্তু তৃণমূলের নেতা হওয়ায় আমরা কেউই কোনওদিন প্রতিবাদ জানাতে পারিনি।’
তবে এবার পুলিশ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় যথেষ্টই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের মঙ্গলবার বহরমপুর এসিজিএম আদালতে পেশ করা হয়েছে।