মোদী আজ পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বলেন, ‘পহেলগাঁওতে জঙ্গিরা যে গুলি চালিয়েছিল, তা ভারতবাসীর বুকে গিয়ে বিঁধেছিল। সারা দেশের মানুষ ঘুমাতে পারেনি তারপরে। ২২ তারিখের জবাবে আমরা ২২ মিনিটে ওদের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছি। যারা সিঁদুর মুছতে এসেছিল, তাদের মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছি। যারা ভাবত, ভারত চুপ থাকবে, তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছি। নিজেদের অস্ত্র নিয়ে যারা অহংকার করত, তারা এখন ভীত।’
প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, ‘এটা প্রতিশোধ নয়, এটা ন্যায়ের নয়া রূপ। এটা আক্রোশ নয়, এটা সমগ্র ভারতের প্রত্যয়। এটাই ভারতের নয়া স্বরূপ। আগে ঘরে ঢুকে আঘাত করেছিলাম। এখন সোজা বুকে আঘাত করেছি। এরপর আর ভারতে কোনও হামলা হলে আরও কড়া জবাব দেওয়া হবে। এরপরও সময় সেনা ঠিক করবে, আঘাতের উপায়ও সেনা ঠিক করবে।’
এরপর পাকিস্তানের পারমাণবি বোমার ভয় দেখানো নিয়ে মোদী বলেন, ‘পারমাণবিক বোমার এই ভুয়ো ভয়ে ভারত আর ভীত হবে না। আতঙ্কের গুরু এবং সন্ত্রাসকে সাহায্য করা সরকারকে আমরা আলাদা আলাদা করে দেখব না। আমরা তাদের একই হিসেবে দেখব। তাদের এই স্টেট, নন-স্টেটের খেলা আর চলবে না। গোটা বিশ্বে তাদের মুখোশ খোলার জন্যে আমরা দল পাঠিয়েছি। আমরা এখন গোটা বিশ্বকে পাকিস্তানের আসল চেহারা দেখাব।’

পাকিস্তানের উদ্দেশে আজ কড়া বার্তায় মোদী বলেন, ‘ভারত এখন স্পষ্ট করে দিয়েছে, প্রত্যেকটি সন্ত্রাসী হামলার দাম চুকোতে হবে পাকিস্তানকে। এই দাম চুকোতে হবে পাক সেনাকে। আমি বিকানেরে আসর সময় যে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অবতরণ করেছিলাম, সেখানেও পাকিস্তান হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে পাকিস্তান সেটা ছুঁতেও পরেনি। আর এখানের খুব কাছেই পাকিস্তানের ঘাঁটি ছিল। তবে এখন সেটা আইসিইউতে পড়ে আছে।’
এরপর মোদী বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে না বাণিজ্য হবে না আলোচনা। যদি কথা হয়, তাহলে শুধুমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে। এরপরও যদি পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে সাহায্য করে, তাহলে দাম দিতে হবে তাদের। পাকিস্তান এরপর থেকে আর ভারতের ভাগের জল পাবে না। এটা ভারতের সংকল্প। পৃথিবীর কোনও শক্তি আমাদের সেই সংকল্প থেকে টলাতে পারবে না। বিকশিত ভারতের জন্যে সমৃদ্ধির পাশাপাশি সুরক্ষাও প্রয়োজনীয়।’