৩ বছর ধরে চেষ্টা করেও মেলেনি স্বাস্থ্য সাথী

Spread the love

যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গত তিনবছর ধরে চেষ্টা করেও তৈরি করতে পারেননি, সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডই হাতে চলে এল মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে! সৌজন্যে কলকাতা পুরনিগমের ‘টক টু মেয়র’ ব্যবস্থাপনা।

সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য বলছে, গতকাল (শনিবার – ১৭ মে, ২০২৫) কলকাতা পুর এলাকার অন্তর্গত ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলডাঙা নর্থ রোডের বাসিন্দা নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ‘টক ট মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফোন করেছিলেন নন্দিনীর স্বামী রাজর্ষি সিকদার। তিনি জানিয়েছিলেন, গত তিনবছর ধরে চেষ্টা করেও পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করাতে পারেনি তাঁরা! একথা শুনে মেয়র তাঁকে শনিবারই পুর ভবনে আসতে অনুরোধ করেন।

সেই মতো শনিবার নন্দিনী ও রাজর্ষি তাঁদের নাবালক সন্তানকে নিয়ে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কার্যালয়ে আসেন। সেখানেই এই পরিবারের সদস্যদের হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন ফিরহাদ। এই পরিবারটির যে এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে কোনও সমস্যা হবে না, সেই নিশ্চয়তাও দেন তিনি।

এই ঘটনায় স্বভাবতই খুশি নন্দিনী ও রাজর্ষি। একইসঙ্গে তাঁরা অবাকও হয়েছেন ভীষণ। কারণ, গত তিনবছর ধরে যে কাজ হয়নি, মেয়রকে নালিশ জানাতেই কীভাবে সেই কাজ মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে গেল, সেই প্রশ্ন উঠছেই।

যদিও সংবাদমাধ্যমে ফিরহাদ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাওয়া মোটেই কঠিন কিছু নয়। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আবেদন করলে সহজেই এই কার্ড পাওয়া যায়। কিন্তু, আমজনতার অনেকে সেসব সম্পর্কে অবহিত নন। ফলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে জনসংযোগের অভাবের পাশাপাশি আধিকারিকদের একাংশের গাফিলতিও যে কারণ, সেটা পুর কর্তৃপক্ষও মানছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *