লিওনেল মেসির আমলেও যে কাজটা করতে পারেনি, এবার সেটাই করে দেখাল প্যারিস সাঁ-জা। শনিবার (ইংরেজি মতে, ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার) ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে ধ্বংস করে প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল। শুধু তাই নয়, যেভাবে ইতালির দলকে নিয়ে ছেলেখেলা করল, তাতে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে (অধুনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ধরে) সবথেকে বড় ব্যবধানে জয়ের ইতিহাসও গড়ে ফেলল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো বটেই, সার্বিকভাবে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালের ইতিহাসে কোনও দল পাঁচ গোলের ব্যবধানে জেতেনি। আজ সেটাই করে দেখাল পিএসজি।
UCL ফাইনালে দুর্ধর্ষ খেলেন দুয়ে
আর সেই স্বপ্নের পারফরম্যান্সের সূচনাটা করেন মরক্কোর সুপারস্টার আচরাফ হাকিমি। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করে এগিয়ে দেন ফরাসি দলকে। আট মিনিট পরেই পিএসজির দ্বিতীয় গোলটা করেন দেজিরে দুয়ে। ১৯ বছরের তরুণ ফাইনালের প্রথমার্ধে যে ফুটবলটা খেলেন, সেটা অবসর নেওয়ার পরেও তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স হয়ে থাকবে। আর সেই পারফরম্যান্সের দাম হিসেবে ফুটবল দেবতা যেন তাঁর জন্য ৬৩ মিনিটে তৃতীয় গোলটাও লিখে রেখেছিলেন।
ইন্টারকে লজ্জায় ডুবিয়ে দেন খভিচারা
সেই গোলটার পরই ইন্টারের প্রত্যাবর্তনের যে সামান্যটুকু আশাও ছিল, সেটা শেষ হয়ে যায়। এমনিতে ফাইনালে যেভাবে খেলেছে লাউতারো মার্টিনেজদের দল, তাতে প্রথমার্ধের পরে কতজন ইন্টারের প্রত্যাবর্তনের আশা দেখেছিলেন, সেটা গুনতে সম্ভবত একটা আঙুলই যথেষ্ট। যাঁরা সেই স্বপ্নটা দেখার দুঃসাহস করেছিলেন, তাঁদের স্বপ্ন ৬৩ মিনিটে ভেঙে চুরমার করে দেন দুয়ে।

আর বাকি ২৭ মিনিটে আরও দুটি গোল করে ইন্টারকে চরম লজ্জায় ডুবিয়ে দেন লুইস এনরিকের ছেলেরা। ৭৩ মিনিটে পিএসজির চতুর্থ গোল করেন খভিচা কভারাতসখেলিয়া। নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে (৮৬ মিনিট) পঞ্চম গোলটা করে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ জয়ের মগডালে পিএসকে বসিয়ে দেন সেনি মায়ুলু।
ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে সবথেকে বড় জয়ের নজির
১) প্যারিস সাঁ-জা বনাম ইন্টার মিলান: ৫-০, ২০২৫ সালের ৩১ মে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আমল)।
২) রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ফ্রাঙ্কফুট: ৭-৩, ১৯৬০ সালের ১৮ মে।
৩) বায়ার্ন মিউনিখ বনাম অ্যাটলেটিকো: ৪-০, ১৯৭৪ সালের ১৭ মে (রিপ্লে ম্যাচ)।
৪) এসি মিলান বনাম স্টুয়া: ৪-০, ১৯৮৯ সালের ২৪ মে।
৫) এসি মিলান বনাম বার্সেলোনা: ৪-০, ১৯৯৪ সালের ১৮ মে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আমল)।