ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণের যে পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন, তা বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরইমধ্যে উপত্যকাটির ৭৭ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক ও আবাসিক এলাকায় সরাসরি স্থল অভিযান ও দখলদার বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে গাজার ৭৭ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরাইল। এসব এলাকা থেকে চলে যেতে বলা হয় ফিলিস্তিনিদের।
এতে করে, গাজার ক্ষুদ্র একটি অংশের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এমন পরিস্থিতিতে, দখলদারি বন্ধে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে বাসিন্দারা।
ইসরাইলি সেনাদের বর্বর হামলায় রোববার একদিনে আরও ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে গাজা শহরের একটি স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমা হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে হত্যা করেছে।
এদিকে, স্পেনের নেতৃত্বে ২০টি দেশ মাদ্রিদে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ থামানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে। স্পেন বলেছে, এই যুদ্ধের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই। অবিলম্বে অবরোধ ভেঙ্গে খাদ্য গাজায় প্রবেশ করতে দিতে ইসরাইলের কাছে আহ্বান জানায় তারা।

যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানায় জার্মানিও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ বন্ধে সমাধান খুঁজতে ইসরাইল, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ও ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তারা।
অন্যদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করেছে।