সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাক সংঘাতের আবেহ কিরানা হিলসে মিসাইল পড়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এরই মাঝে পাকিস্তানে বারবার ভূমিকম্প হয়েই চলেছে। তবে কিরানা হিলস থেকে এই কম্পন অনেকটা দূরে হচ্ছে। ১ জুন থেকে দু’দিনে শুধুমাত্র করাচি শহরেই ২১টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
রবিবার রাত থেকে, পাকিস্তানের করাচিতে পরপর মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হেনে চলেছে। এর জেরে উদ্বিগ্ন সেখানকার বাসিন্দারা। এরই সঙ্গে মুহুর্মুহু কম্পনে হুলস্থুল কাণ্ড করাচিতে। তাছাড়া রহস্যও ঘনীভূত হচ্ছে এতগুলি ভূমিকম্পের জেরে। করাচিতে ৪৮ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ২১টি নিম্ন থেকে মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে – যার মাত্রা ২.১ থেকে ৩.৬ পর্যন্ত।
এহেন পরিস্থিতিতে আরও বড়, আরও বিপজ্জনক ভূমিকম্প আসন্ন কিনা তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রবিবার রাতে ৩.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে মালির কারাগারের দেয়াল আংশিকভাবে ধসে পড়ে। যার ফলে ২১৬ জন বন্দী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সেটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পঞ্জাব প্রদেশে দুটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছিল। এর আগে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে ২০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তান জুড়ে। অর্থাৎ, গড়ে প্রতিদিনে ১টির বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে পাকিস্তানে। আর গত কয়েকদিনে ২১টি ভূমিকম্প হয়েছে শুধুমাত্র করাচিতেই।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাক সংঘাতের আবেহ কিরানা হিলসে মিসাইল পড়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। দাবি করা হচ্ছে, সেখানেই পাকিস্তানের পরমাণু মিসাইল ভাণ্ডার। এবং পাকিস্তানে বারবার ভূমিকম্পের নেপথ্যে সেই কিরানা হিলস প্রসঙ্গ টেনে আনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায়। এমনিতে পাকিস্তান তিনটি টেকটনিক প্লেটের ওপর বসে – আরব, ইউরো এশিয়ান এবং ভারত। এই কারণেও সেখানে অনেক ভূমিকম্প হতে পারে। এদিকে করাচির কোরাঙ্গি এবং মালির এলাকায় ছোট ছোট ফল্ট লাইন রয়েছে যা ছোট ছোট ভূমিকম্পের কারণ হচ্ছে।