আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পার হয়েছে। এই আবহে তদন্তকারীরা এই দুর্ঘটনার বিভিন্ন সম্ভাবনার দিকটি খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যেই বিমানের উভয় ইঞ্চিন বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে সেই সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবার এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটরা সিমুলেটেড ফ্লাইট চালালেন।
তদন্তের বিষয়ে অবগত ব্যক্তিদের মতে, বিমান সংস্থার পাইলটরা ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানের প্যারামিটারগুলি পুনরায় পর্যবেক্ষণ করেছিলেন একটি ফ্লাইট সিমুলেটরে। সেই সময় ল্যান্ডিং গিয়ার ডিপ্লয় করা এবং ডানার ফ্ল্যাপগুলি প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁরা। এই আবহে তাঁরা দেখেন যে কেবল সেই সেটিংসই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে না।এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তদন্তের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, আমদাবাদে দুর্ঘটনার সময় ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের জরুরি ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল। এটি ব়্যাম এয়ার টারবাইন নামে পরিচিত। ড্রিমলাইনারের ম্যানুয়াল উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, উভয় ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে বা তিনটি হাইড্রোলিক সিস্টেমের চাপ কম থাকলে বিমানের জরুরি ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হতে পারে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হওয়ার আগে বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি আকাশে ৬২৫ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল। ২০১১ সালে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার প্রথম বাজারে আসার পর এই বিমানের এটাই প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এই বিমানটি বিমানবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিজে মেডিক্যাল কলেজের একটি হোস্টেলে গিয়ে ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন বেঁচেছিলেন। এছাড়াও মাটিতে থাকা আরও বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছিল এই দুর্ঘটনায়।এদিকে দ্য সানডে গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মার্কিন পরিবহণ বিভাগের প্রাক্তন ইনসপেক্টর জেনারেল এবং বর্তমানে মটলি রাইস সংস্থার বিমান চলাচল বিষয়ক আইনজীবী মেরি শিয়াভো এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের দুর্ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেন, এই দুর্ঘটনাটি সম্ভবত সফ্টওয়্যার-ট্রিগার ইঞ্জিন ত্রুটির কারণে ঘটেছে।

মেরি শিয়াভোর মতে, বিমানটি সম্ভবত একটি সফ্টওয়্যার ত্রুটির কারণে ডুয়াল ইঞ্জিন থ্রাস্ট রোলব্যাকের শিকার হয়ে থাকতে পারে। এই একটি ত্রুটি এর আগেও নাকি বোয়িং ৭৮৭-এ ঘটেছে এবং এর তদন্তও করা হয়েছিল। এর আগে গুজরাটের আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা মনে করছিলেন যে বোয়িং ড্রিমলাইনারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আগে তাতে জরুরি জেনারেটর চালু ছিল।