টাটা সন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন বুধবার জানিয়েছেন, গত ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই১৭১ ভেঙে ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনাকে ‘অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি’ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, সত্য উদঘাটনের জন্য ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কবলে পড়া সেই বিমানের দুই পাইলটই দুর্দান্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ নামের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার আকাশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমদাবাদের একটি মেডিক্যাল কলেজ কমপ্লেক্সে ভেঙে পড়েছিল। দুর্ঘটনায় ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জন মারা যান এবং মাটিতে থাকা আরও বেশ কয়েকজন মারা যান।
টাইমস নাওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর ভাষা আমার নেই। টাটা চালিত বিমান সংস্থায় এই দুর্ঘটনার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আমরা এখন পরিবারগুলির সাথে থাকতে পারি।’
দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ এবং এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে সেই সংক্রান্ত কোনও প্রাথমিক তথ্য রয়েছে কিনা জানতে চাইলে চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বর্তমানে তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে। সরকার নিযুক্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও এতে জড়িত।’

চন্দ্রশেখরন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে প্রাথমিক অনুসন্ধানে এক মাস সময় লাগতে পারে। এদিকে সেই উড়ানের পাইলটদের সম্পর্কে চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘দুই পাইলটই দুর্দান্ত ছিলেন। ক্যাপ্টেন সাভারওয়ালের ১১,৫০০ ঘণ্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল, ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ (কুন্ডার) ৩,৪০০ ঘণ্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। আমি সহকর্মীদের কাছ থেকে যা শুনেছি তা হল তাঁরা দুর্দান্ত পাইলট এবং পেশাদার ছিলেন। সুতরাং, আমরা কোনও সিদ্ধান্তে যেতে পারি না।’