সোমবার হংকং থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানায়। এই বিমানটিও বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ছিল। জানা যায়, ফ্লাইট এআই৩১৫ হংকং থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সেটি ফের ফিরে যায় হংকংয়েই।
এর আগে আমদাবাদে বিধ্বংসী দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটিও ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। সেই দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে জনরোষ বেড়েছে। পরিবার এবং শোকার্তরা এয়ারলাইনটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং পাইলট প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে ত্রুটির বিষয়ে গভীর হতাশা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এদিকে বোয়িংয়ের বিমানের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে থাকা সকল বোয়িং ড্রিমলাইনার খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল ডিজিসিএ। কোনও বিমানে কোনও ত্রুটি বা রক্ষণাবেক্ষণের খামতি আছে কি না, তা দেখতে বলা হয়েছিল। এই আবহে আর্ধেকেরও বেশি ড্রিমলাইনার খতিয়ে দেখেছে এয়ার ইন্ডিয়া। বাকি বোয়িং ড্রিমলাইনারগুলিও শীঘ্রই পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
এদিকে আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল গঠন করেছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ), এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) এবং স্বতন্ত্র বিমান চলাচল সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এই তদন্ত কমিটি।

আমদাবাদের দুর্ঘটনায় বিমানের সম্ভাব্য প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা, রক্ষণাবেক্ষণের রেকর্ড এবং ক্রুদের পদক্ষেপগুলি খতিয়ে দেখবে তারা। প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সেটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ আরোহী নিহত হয়েছিলেন। এটি ভারতের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান ট্র্যাজেডিগুলির মধ্যে অন্যতম।