আমদাবাদ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে টাটা সন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান বললেন, ‘আমাকে সমস্ত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে ব্ল্যাক বক্স এবং রেকর্ডারগুলিই দুর্ঘটনার আসল কারণ তুলে ধরবে। তাই আমাদের শুধু এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ দুর্ঘটনা ঘিরে নানা তত্ত্ব নিয়ে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানুষের ভুল নিয়ে জল্পনা-কল্পনা, বিমান সংস্থা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা, ইঞ্জিন, রক্ষণাবেক্ষণ সব ধরনের জল্পনা চলছে। তবে সেই বিমানটিতে এর আগে কোনও সমস্যার দেখা দেয়নি।’
চন্দ্রশেখরন ইঙ্গিত দেন যে প্রাথমিক অনুসন্ধানে এক মাস সময় লাগতে পারে। এদিকে সেই উড়ানের পাইলটদের সম্পর্কে চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘দুই পাইলটই দুর্দান্ত ছিলেন। ক্যাপ্টেন সাভারওয়ালের ১১,৫০০ ঘণ্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল, ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ (কুন্ডার) ৩,৪০০ ঘণ্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। আমি সহকর্মীদের কাছ থেকে যা শুনেছি তা হল তাঁরা দুর্দান্ত পাইলট এবং পেশাদার ছিলেন। সুতরাং, আমরা কোনও সিদ্ধান্তে যেতে পারি না।’
চন্দ্রশেখরন জানান, সেই নির্দিষ্ট বিমানের ডানদিকের ইঞ্জিনটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে নতুনভাবে ইনস্টল করা হয়েছিল। আর বিমানের বাম ইঞ্জিনটি সর্বশেষ ২০২৩ সালে সার্ভিস করা হয়েছিল। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে ফের সেই বাম ইঞ্জিনটির রক্ষণাবেক্ষণ হওয়ার কথা ছিল। ডিজিসিএর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত নোটিস এআই১৭১-এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে বোয়িংয়ের হুইসেলব্লোয়ারের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী সংস্থাগুলো এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তবে আমাদের দিকে থেকে আমরা কোনও রেড ফ্ল্যাগ দেখতে পাইনি।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমি বোয়িং এবং জিই উভয়ের সাথে সর্বোচ্চ স্তরে যোগাযোগ করেছি … আমি তাদের বলেছি বিমান বা ইঞ্জিনে সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে আমাদের জানাতে।’ এদিকে বিমানে তুর্কি রক্ষণাবেক্ষণের যোগ থাকার খবর নিয়ে চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘আমাদের কোনও (৩৩টি) ড্রিমলাইনারের রক্ষণাবেক্ষণই তুর্কি টেকনিক করে না। এর বেশিরভাগই এআইইএসএল (এআই ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস লিমিটেড) বা এসআইএ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি করে।’