Air India Plane Crash। বিমান দুর্ঘটনায় মৃত বিজয় রূপানির দেহ শনাক্ত করা হল DNA পরীক্ষায়

Spread the love

আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে শীঘ্রই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। রাজকোটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি বলেন, ‘গত ১২ জুন আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনায় মারা যান গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। এখন তাঁর মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’ গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির বাড়িতে যান এবং তাঁর পরিবারকে জানান যে তাঁর ডিএনএ মিলে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী পরিবারকে আরও বলেছেন যে রাজ্য সরকার রাজকোটে শেষকৃত্যের জন্য তাঁদের সব ধরনের সাহায্য করবে। পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন কখন তাঁরা তাঁর মরদেহ গ্রহণ করতে চান।’

এর আগে গত ১২ জুন আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান মেঘানিনগরে ভেঙে পড়েছিল। এ সময় বিমানটিতে পাইলট ও ক্রু মেম্বারসহ মোট ২৪২ জন আরোহী উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিজয় রূপানি। স্ত্রীকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে লন্ডন যাচ্ছিলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, এর আগে ৫ জুন লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল বিজয় রূপানির। কিন্তু লুধিয়ানা পশ্চিম উপনির্বাচনের কারণে সফর পিছিয়ে দিতে হয় তাঁকে।

জানা যায়, ১,২৫,০০০ লিটার জ্বালানি পুড়েছিল এই দুর্ঘটনায়। এর জেরে দুর্ঘটনাস্থলের তাপমাত্রা ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে গিয়েছিল। বিমান দুর্ঘটনাটি এতটাই মারাত্মক ছিল যে যাত্রীদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিবারের কাছে দেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। ঘটনার তিন দিন পর কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ৩২ জন ভিকটিমকে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করতে পেরেছে এবং ১৪ জনের মরদেহ তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। অতিরিক্ত সিভিল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ রজনীশ প্যাটেল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁরা গুজরাট ও রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দা।

কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? ১২ জুন দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ ফ্লাইট থেকে টেকঅফের কয়েক সেকেন্ড পরই মেঘানিনগরের একটি হস্টেলের পাঁচতলা ভবনে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে বিমানের ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জন মারা গিয়েছিলেন, এবং একজন ব্যক্তি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *