কী কারণে এসসিওতে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেননি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সেটার কারণ ব্যাখ্যা করে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘ওঁরা (এসসিওয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী) কোনও যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে পারেননি। কয়েকটি ইস্যুতে কয়েকটি সদস্য দেশ ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি। তাই যৌথ বিবৃতি গৃহীত হয়নি।’
সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যৌথ বিবৃতিতে জোরালোভাবে পহেলগাঁও হামলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল বার্তা। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান। তিনি সরাসরি পাকিস্তানের নাম করেননি। কিন্তু ইঙ্গিতটা যে ইসলামাবাদের দিকে ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর কথায়, ‘ভারত চেয়েছিল যে যৌথ বিবৃতিতে জোরালোভাবে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরা হোক। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট দেশের কাছে সেটা গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাই যৌথ বিবৃতিতে ……..।’
একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এসসিওয়ের যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার উল্লেখ করা হয়নি। যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর তাতে পাকিস্তানের হাত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই পাকিস্তানই বালোচিস্তানে সন্ত্রাসবাদ চলছে বলে দাবি করে সেটিকে এসসিওয়ের যৌথ বিবৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছিল।

ভারত যেহেতু যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি, তাই সেই প্রস্তাবও গৃহীত হয়নি। সেজন্য ‘প্রজাতন্ত্রী বালোচিস্তানের’ তরফে ভারতকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। চিন এবং পাকিস্তানের চেষ্টা সত্ত্বেও নয়াদিল্লি যে এসসিওয়ের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি, সেজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর এবং ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ‘বালোচিস্তান সরকার।’
সেইসঙ্গে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এসসিওয়ের সদস্যভুক্ত দেশগুলিকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে পাকিস্তানি সেনা এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ছক কষে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল। তারপরও এসসিও যে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেনি, তা থেকে প্রমাণ মিলছে যে পাকিস্তান এবং চিন সন্ত্রাসবাদে মদত জোগায়।