বাংলাদেশের বায়ুসেনার বিমান সোমবার ঢাকার আকাশে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আছড়ে পড়ে স্থানীয় এক স্কুলে। মাইলস্টোন স্কুলের ভবনে বিমান আছড়ে পড়তেই প্রথমে এক জনের মৃত্যুর খবর আসে। তা পরে বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়ায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভয়াবহ অবস্থায় অনেকেই। আহতের সংখ্যা অর্ধ শতাধিক বলে দাবি করছে বাংলাদেশের ‘প্রথম আলো’র সংবাদ। তারই মাঝে দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলল বাংলাদেশের সেনার আইএসপিআর।
এদিন বাংলাদেশের সেনার তরফে ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস বা আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। তবে গোটা বিষয়টি তদন্তের পর জানা যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে বাংলাদেশ বায়ুসেনার ওই বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মহম্মদ তৌকির ইসলাম প্রয়াত হয়েছেন এই ঘটনায়। আইএসপিআর জানিয়েছে, তিনি বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানটিকে ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।
আইএসপিআর বলছে, দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এ আকস্মিক দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। আইএসপিআরের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার (২১-৭-২০২৫) দুপুর ১ টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলাস্থ বিমানবাহিনীর এ কে খন্দকার ঘাটি থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরই বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, স্বজনহারার কান্নায় বাংলাদেশ জুড়ে হাহাকারের ছবি।
বাংলাদেশেরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সব সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। আহত নিহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।