মুখে বলা হচ্ছে যে সবকিছু ঠিক আছে। তাতে অবশ্য জল্পনা থামেনি। বরং মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের সেনার মধ্যে টানাপোড়েন নিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছেে বলে কানাঘুষো চলছে। বিশেষত যখন থেকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন, তখন থেকেই জল্পনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে যে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেটার নেপথ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের হাত আছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সেইসঙ্গে নয়া সেনাপ্রধান হিসেবে কয়েকটি ভেসে আসছে বলে দাবি করা হয়।
যদিও বাংলাদেশের তথ্য অনুসন্ধানকারী সংস্থা রিউমর স্ক্যানারের তরফে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের পদ থেকে জেনারেল ওয়াকারকে সরিয়ে দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। আর তাছাড়া ওরকম একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার। আর বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের পদাধিকার হিসেবেই সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ওই তথ্য অনুসন্ধানকারী সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে সাইটের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে ওই ভুয়ো দাবি ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল যে গোপনে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের পদ থেকে জেনারেল ওয়াকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী ইউনুস নাকি নিজের লোককে সেই পদে বসাতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহলকে উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়।
এমনিতে আপাতত বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। বিএনপি তো বটেই, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারও চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। যদিও সেই পথে হাঁটতে রাজি নন ইউনুসরা। তাঁরা দাবি করেছেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।