সম্প্রতি ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ ঘোষণা করা হচ্ছে। এই দাবি সত্যি হলে তা ভারতের জন্য খুবই উদ্বেগের হতে পারে। যদিও সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তারা এই নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছে।
বাংলাদেশ সেনার পোস্টে লেখা, ‘ভারতীয় গণমাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে – কক্সবাজার থেকে বান্দরবান পর্যন্ত এলাকাকে মিলিটারি অপারেশনস জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তবে এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ এরপর ভারতীয় মিডিয়াকে তোপ দেগে বাংলাদেশ সেনার তরফে লেখা হয়েছে, ‘ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম এই ধরনের সংবাদ পরিবেশন করছে। এটা তাদের পরিকল্পিত অপচেষ্টার অংশ।’
যে বাংলাদেশে সেনা এবং সরকারে মিল নেই, হাসিনা চলে গেলেও বাকি রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে রেষারেষি জারি, সেই বাংলাদেশের সেনার অভিযোগ, ভারতীয় মিডিয়া নাকি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়। নিজেদের দেশ সামলাতে না পারা বাংলাদেশ সেনা কাঁদো কাঁদো স্বরেই যেন বলে, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে এবং সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করতে চাই ভারতীয় মিডিয়া।’এদিকে মায়ানমারে ‘সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে’ বাংলাদেশ সেনা সমর্থন করছে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছিল উক্ত রিপোর্টে। তা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের অভিযোগ, ‘এই ধরনের সংবাদ একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।’ এদিকে ইউনুস সরকার যেখানে বাংলাদেশের একটা অংশ আমেরিকার হাতে তুলে দিতে মরিয়া, সেখানে সেনাবাহিনী এই পোস্টে লেখে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং সংবিধান রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

বাংলাদেশ সেনার বক্তব্য, ‘জাতীয় স্বার্থে সেনাবাহিনী কখনোই আপস করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না। বাংলাদেশ সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকেছে এবং দেশের জনগণ ও ভূখণ্ড রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।’ তবে পোস্টের এই অংশটা ভারতীয় মিডিয়া নাকি মহম্মদ ইউনুসের উদ্দেশে তারা লিখেছে, তা অনেককেই ভাবাতে পারে।