গোপালগঞ্জের হিংসার ঘটনার পরে রোষের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সেনা। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বাহিনীর বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারইমধ্যে শনিবার অভিযোগ ওঠে যে জামায়াতে ইসলামির জাতীয় সমাবেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনার গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তরফেই সেইসব বাস প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও সেইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। শনিবার আইএসপিআরের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক দলকে বাস সরবরাহ করেনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্পূর্ণ মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। আর সেটার নেপথ্যে রয়েছে একটি উদ্দেশ্য – সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে হবে।
আইএসপিআরের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর তরফে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো হয়। সেইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য সাময়িকভাবে কয়েকটি বেসরকারি বাস ভাড়া নেওয়া হয়ে থাকে। কখনও কখনও সেই বাসে ‘বাংলাদশ সেনা’ বা ‘বাংলাদশ আর্মি’ লেখা হয়। কিন্তু চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও কোনও কোনও বাসে বেআইনিভাবে সেই লোগো রেখে দেওয়া হয় বলে আইএসপিআরের তরফে দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আইএসপিআরের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভুয়ো কথা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে আইএসপিআর। সেই পরিস্থিতিতে কেউ যাতে বিভ্রান্তিকর তথ্যে বিশ্বাস না করেন, সেই আর্জি আইএসপিআরের তরফে করা হয়েছে।

এমনিতে যে জামাতকে বাস দেওয়া নিয়ে আইএসপিআরের অভিযোগ উঠেছিল, সেই দলকে পাকিস্তানের দালাল বলে অভিহিত করেন অনেকে। আর গোপালগঞ্জের হিংসায় যে হিন্দু-সহ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সেনার বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনার পরে অভিযোগ উঠেছে যে মহম্মদ ইউনুসদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে জেনারেল ওয়াকারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।