নিউ ইয়র্কে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেই সাহসী কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম (৩৬)। আজ ভোরে মিডটাউন ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন তিনি। এদিকে নিজে মারা গিয়েও তিনি হিরো হয়ে উঠেছেন নিউ ইয়র্কের জন্য।
মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে আগত একজন অভিবাসী ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্ককে ভালোবাসতেন এবং ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন। তিনি এই শহরের আসল রূপের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিনি কেবল তাঁর পোশাকেই নয়, বরং তাঁর শহরকে ভালোবাসার চেতনায় একজন সত্যিকারের নিউ ইয়র্কবাসী ছিলেন। তিনি একজন বীর ছিলেন। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন এই হামলার সময়। এর জন্য তাঁর প্রশংসা করি।’
উল্লেখ্য, পুলিশ কর্তা দিদারুল ম্যানহাটানের সেই বিল্ডিংয়ে নিরাপত্তা কর্মীর দায়িত্ব পালন করতেন অফটাইমে। এনওয়াইপিডি জানিয়েছে, হামলার সময় অনেককে বাঁচিয়েছেন দিদারুল। সেই সময়ই তিনি প্রাণ হারান। গত সাড়ে তিন বছর ধরে দিদারুল নিউ ইয়র্ক পুলিশে কাজ করছিলেন। দিদারুলের স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে যে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী এখন মৃত। তার কাছে গোপনে বন্দুক বহন করার লাইসেন্স ছিল। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, তার একটি মেয়াদোত্তীর্ণ ব্যক্তিগত তদন্তকারী লাইসেন্সও ছিল। নিউ ইয়র্ক পোস্ট পত্রিকা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, বুলেট-প্রতিরোধকারী জ্যাকেট পরে এআর-স্টাইলের রাইফেল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল এই বন্দুকধারী। পার্ক অ্যাভিনিউয়ের আকাশচুম্বী ভবনের ভিতরে এই হামলা চালানো হয়েছিল।

হামলার পর বন্দুকধারী ভবনের ৩২তম তলায় লুকিয়ে পড়ে। এর জেরে সেই বিল্ডিংটি লকডাউন করা হয়েছিল। পরে নিউ ইয়র্ক পুলিশের কমিশনার জেসিকা ডিশ জানান, বন্ধুকধারী মারা গিয়েছে এবং জায়গাটিকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। ফক্স নিউজের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই হামলায় ৬জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। জানা যায়, বন্দুকধারীকে শনাক্ত করতে পার্ক অ্যাভিনিউতে ড্রোন উড়িয়েছিল নিউ ইয়র্ক পুলিশ।