Bangladeshi Muhammad Yunus on India। নিজের দেশ ‘বিক্রি’ করার পাঁয়তরা করে দুষলেন ভারতকে

Spread the love

সেন্ট মার্টিনকে ধীরে ধীরে জনমানবশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশের মাটিকে মার্কিন সেনা পা রাখায় সেই দেশেই হইচই শুরু হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পর্যন্ত বলেছে, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে তারা শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়বে’। তবে সেনা এবং ইউনুসের দূরত্ব নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া খবর করায় বেজায় চটেছেন শান্তির জন্য নোবেল পাওয়া এই অর্থনীতিবিদ।

ইউনুস এবং বাংলাদেশ সেনা প্রধানের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখা হয়, ‘সম্প্রতি, বেশ কয়েকটি ভারতীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ক্রমাগত মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে। এই বিভ্রান্তিকর প্রচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলিতে, বিশেষ করে এক্স (পূর্বে টুইটার) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভুয়ো গল্পগুলি মূলত বেনামী উৎসের উপর নির্ভর করে বানানো হয়েছে এবং এর কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।’ 

বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের নাম নিয়ে ইউনুসের এক্স পোস্টে দাবি করা হয়, ভারতীয় মিডিয়া যে দাবি করছে যে জেনারেল ওয়াকার উজ জামান যেকোনও মূল্যে ইউনুসকে সরানোর পরিকল্পনা করছে, তা মিথ্যা। ইউনুস এবং সেনা প্রধানের মধ্যে বাড়তে থাকা দূরত্বকে পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে পোস্টে। সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয় সেই পোস্টে। পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘২০ মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থান সম্পর্কিত সমস্ত গুজব অস্বীকার করে। এরপর ২৩ মে ফের একবার এই সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রত্যাখ্যান করে। তদুপরি, প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২১শে মে এক উচ্চ-পর্যায়ের ‘দরবার’ বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ঘোষণা করেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সহযোগিতা করছি। আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখব’।’

এর আগে অবশ্য মানবিক করিডোর ইস্যুতে তীব্র অস্বস্তি এবং চাপে পড়েছিলেন ইউনুস। পরিস্থিতি এমনই হয়ে গিয়েছিল যে তিনি পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশও নাকি করেছিলেন। আর সেই খবর বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছিল। ইউনুসের স্নেহধন্য এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামও এই কথা দাবি করেছিলেন। তারপর বিএনপি, জামাত, এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি আপাতত সামাল দিয়েছেন ইউনুস। বেঁচে গেছে তাঁর কুর্সি। আর পদ বাঁচতেই ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু বাংলাদেশি প্রধান উপদেষ্টার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *