ওয়াশিংটনে যেই সময় পাকিস্তানের সেনা প্রধার উপস্থিত, ঠিক সেই সময়ই সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে গিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন খলিলুর। এই আবহে ফের একবার সেন্ট মার্টিন বা চট্টগ্রামের মানবিক করিডোর নিয়ে চর্চা উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে এই খলিলুরের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশি সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামানকে পদ থেকে সরানোর ছক কষার অভিযোগ উঠেছিল। এহেন বিতর্কিত ব্যক্তিত্বকে তাও পদে বহাল রেখেছেন ইউনুস। শুধু তাই নয়, মার্কিন সফরে পাঠিয়েছেন খলিলুরকে। এর আগে ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বসে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল খলিলুরকে। তবে তখনও তিনি বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হননি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বুধবার রাতে মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে দেখা করেন। ওয়াশিংটন ডিসি-তে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দফতরেই দুই কর্মকর্তার বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে খলিলুরের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখারও অভিযোগ আছে। এই আবহে কাকতলীয় ভাবে হলেও তিনি এমন এক সময় ওয়াশিংটন ডিসিতে ছিলেন, যখন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরও ওয়াশিংটনেই ছিলেন। মুনির যখন ট্রাম্পের সঙ্গে বসে লাঞ্চ করছিলেন, তখন খলিলুর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অফিসে বৈঠক করছিলেন।এদিকে খলিলুরের বৈঠক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বৈঠকে তারা রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান শুল্ক আলোচনা, দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করেন। ল্যান্ডাউ নাকি প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশকে মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।