Barasat Police-Protestors clash। বারাসতে প্রতিবাদীদের মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে! ধৃত ১৮

Spread the love

গোটা রাজ্যের মতো গতকাল বারাসতেও রাত দখলের কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে জোর করে প্রতিবাদীদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে প্রতিবাদীদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে আজ সকালে বারাসত পুলিশ দাবি করে, মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮ জনকে। এদিকে এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (যার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় অবস্থানরত প্রতিবাদীকে এসে কড়া সুরে ধমক দিচ্ছেন এক পুরুষ পুলিশকর্মী। তার আশেপাশে, পিছনেও সবাই পুরুষ। এদিকে এক আন্দোলনকারী সেই পুলিশ আধিকারিককে বাংলায় কথা বলতে বলেন। আর তারপরই কয়েকজন পুলিশকর্মী সেই আন্দোসনকারীকে ঘিরে ধরেন। শুরু হয় ঝামেলা।

এরপর ভিডিয়োতে আরও দেখা যায়, প্রচিবাদীকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ নিয়ে যেতে চাইলে সেখানে এক মহিলা প্রতিবাদী গিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে তাও পুলিশ ছাড়েনি। এরপর একে একে প্রতিবাদীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। গ্রেফতার ১৮ জনের মধ্যে ৫ জন মহিলা প্রতিবাদীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে পুলিশের অভিযোগ, সারা রাত নয়, বরং রাত ১০টা থএকে ১২টা পর্যন্ত সময়ের জন্যে জমায়েতের অনুমতি ছিল প্রতিবাদীদের কাছে। এদিকে বারাসতের ডাকবাংলো মোড় এবং কলোনি মোড় এলাকায় মানুষের ভিড়ে একসময় স্তব্ধ হয়ে যায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল। এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটে সেই ঘটনা। দেখা যায়, পুলিশ টেনে হিঁচড়ে জাতীয় সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হচ্ছে। অভিযোগ এই অভিযানের দায়িত্বে ছিলেন বারাসতের এসডিপিও, থানার ওসি।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে আজ বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা মহিলা পুলিশের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। পুলিশের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করা হয় বলে দাবি করেনি তিনি। তিনি জানান, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কলোনি মোড়ে যে অবরোধ করা হয়েছিল, তার কোনও অনুমতি নেওয়া ছিল না। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ থাকার ফলে প্রচুর পচনশীল জিনিসের ট্রাক আটকে পড়েছিল। সেই ড্রাইভাররা এসেও নাকি প্রতিবাদীদের অবরোধ তুলে নেওয়া জন্যে রাস্তার একটা দিক ছেড়ে দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করেছিলেন। তবে কোনওভাবেই নাকি প্রতিবাদীরা কথা শুনছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *