BCCI-এর বুমরাহকেই নেতা করা উচিত কিন্তু… কেন এমন বললেন মইন আলি?

Spread the love

শুভমন গিল ভারতের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন এবং আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হতে চলা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ দিয়েই তার নেতৃত্বযাত্রা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত সপ্তাহে রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই নানা জল্পনা উঠছে। সকলেই প্রশ্ন করছেন রোহিত শর্মার উত্তরসূরি কে হবেন? এই বিষয়টা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে।

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনার মইন আলি মনে করেন, শুভমন গিল অধিনায়ক হওয়ার জন্য যথার্থ পছন্দ হতে পারেন, যদিও তাঁর ‘টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতার অভাব’-এর কথাও উল্লেখ করেছেন।মইন আলির মতে, আদর্শভাবে বোর্ড চাইতো যে জসপ্রীত বুমরাহ ইংল্যান্ড সিরিজে ভারতের নেতৃত্ব দিন। কিন্তু তাঁর চোট ও অতিরিক্ত ওয়ার্কলোড বিবেচনা করে বোর্ড হয়তো তাকে দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়ক না করার পথেই হাঁটবে।

রোহিতের অনুপস্থিতিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বুমরাহ ভারতের অধিনায়কত্ব করেছিলেন এবং পার্থ টেস্টে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। তবে সিডনি টেস্টে চোট পেয়ে ছিটকে পড়েন বুমরাহ, এবং তখন থেকেই তার অধিনায়ক হওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।

মইন আলি স্কাই স্পোর্টসকে বলেন, ‘আমি মনে করি অধিনায়ক হবেন শুভমন গিল। আদর্শভাবে, বিসিসিআই চাইবে বুমরাহ অধিনায়ক হোক, কারণ সে খুব ভালো নেতা, অভিজ্ঞতাও আছে। কিন্তু তার ইনজুরির ইতিহাস বিবেচনায় নিয়ে হয়তো পুরো সিরিজেই তাকে পাওয়া যাবে না।’

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি মনে করি তারা এমন কাউকে দায়িত্ব দেবে, যার টেস্টে মোটামুটি ভালো রেকর্ড আছে। গিল আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সুতরাং তার মধ্যে নেতৃত্বগুণ আছে। অভিজ্ঞতা কম হলেও, মেধাবী এবং বিচক্ষণ। তবে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে এটা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।’

এটি হবে গিলের দ্বিতীয় ইংল্যান্ড সফর। যদিও তাকে ভারতের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে, কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যান খুব বড় কিছু নয়। ৩২টি টেস্টে তার গড় মাত্র ৩৫, আর বিদেশের মাটিতে তা কমে দাঁড়ায় ২৯। বিদেশে তার একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি এসেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

শুভমন গিল কত নম্বরে ব্যাট করবেন?

গিল তার টেস্ট কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ওপেনার হিসেবে, তবে চেতেশ্বর পূজারা ফর্ম হারানোর পর তাঁকে তিন নম্বরে পাঠানো হয়। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনিই স্বেচ্ছায় এই পজিশন গ্রহণ করেন, যখন রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন প্রধান কোচ। তাই অধিনায়ক হওয়ার পরও গিল তার ব্যাটিং পজিশন বদলাবেন, এমন সম্ভাবনা কম। যদিও বিরাট কোহলির শূন্যস্থান হিসেবে চার নম্বর পজিশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ব্যতিক্রম হতে পারে।

শ্রেয়স আইয়ার ছাড়াও যাঁরা কোহলির জায়গা নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে, তারা হলেন সরফরাজ খান, রজত পতিদার এবং ধ্রুব জুরেল। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত-এর নাম ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে শোনা যাচ্ছে ঠিকই, তবে তার দুর্বল ফর্ম এবং আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ব্যর্থ নেতৃত্ব আপাতত তাকে অধিনায়কত্বের দৌড় থেকে পিছিয়ে দিয়েছে।

পেসার জসপ্রীত বুমরাহ, যিনি এক সময় রোহিতের সহ-অধিনায়ক ছিলেন এবং দুটি টেস্টে অধিনায়কত্বও করেছিলেন (একটিতে জয়ও পান), তাকেও অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টে চোট পাওয়ার পর সবে মাত্র তিনি মাঠে ফিরেছেন। ইংল্যান্ডে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে, যার ফলে ভারতকে পেসারদের ওয়ার্কলোড পর্যবেক্ষণ করে একাধিক ম্যাচে বিশ্রাম দিতে হতে পারে। এই বাস্তবতাও বুমরাহকে অধিনায়ক হিসেবে ভাবনার বাইরে ঠেলে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *