রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স স্পোর্টস লিমিটেডের মার্কেটিং হেড নিখিল সোসালেকে পদপিষ্টের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিখিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে দাখিল করা পিটিশনে নিখিল সোসালে তাঁর গ্রেফতারিকে স্বেচ্ছাচারী, অবৈধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
আদালতে দাখিল করা পিটিশনে নিখিল অভিযোগ করেছেন যে গভীর রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার মৌখিক নির্দেশের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে তাঁর গ্রেফতারি সরকারি হঠকারী প্রতিক্রিয়া ছিল। চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার দায় আরসিবি এবং তার কর্মীদের উপর চাপিয়ে দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য ছিল বলে অভিযোগ নিখিলের।
এর আগে শুক্রবার সকালে কর্ণাটক হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদপিষ্ট হওয়ার বিষয়টি আমলে নিয়ে রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিল। এই আবহে নিখিল সোসালের আইনজীবী আদালতকে জানান, ইনস্পেক্টর একে গিরিশা এফআইআর দায়ের করেছিলেন এই মামলায়। তাঁকে পরে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এটা পদ্ধতিগত ত্রুটি এবং এতে নিখিলের গ্রেফতারির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।
এদিকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল শশীকিরণ শেঠি পালটা দাবি করেছেন যে নিখিল সোসালে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁকে আটক করা হয়েছিল। সংক্ষিপ্ত শুনানির পর বিচারপতি এস আর কৃষ্ণ কুমার বিষয়টি ৯ জুন পর্যন্ত মুলতুবি রেখে বলেন, নিখিলের মুক্তির বিরুদ্ধে সরকারের কী কী আপত্তি আছে তা তারা বিবৃতি আকারে দাখিল করুক। তারপরে নিখিলকে অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে আরসিবি দল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। বেঙ্গালুরু পুলিশের কমিশনার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, আরসিবির সেই বিজয় উৎব পালনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজেও উপস্থিত ছিলেন।