Bigg Boss OTT। স্বামীর সঙ্গে সতীনকে কি ভাগ করে নেওয়া যায়! হাউ হাউ করে কাঁদলেন পায়েল

Spread the love

দুুই বউ, ৪ বাচ্চাকে নিয়ে একসঙ্গে সংসার করেন। পায়েল-কৃতিকাকে নিয়ে ইউটিউবার আরমান মালিকের সংসার সম্পর্কে জানার আগ্রহ তাই বহু লোকজনের। আর এবার Bigg Boss OTT-র ঘরে দুই বউকে নিয়ে হাজির ইউটিউবার আরমান মালিক।

তবে আপাতত দৃষ্টিতে মালিক ফ্যামিলির ইউটিউবের নানান ভিডিয়োতে এক স্বামীর সঙ্গী দুই সতীনের সংসার সুখের মনে হলেও Bigg Boss-এর ঘরে যত দিন যাচ্ছে, ততই আসল সত্য়ি ফাঁস হচ্ছে। প্রকাশ্যে আসছে একসময়ের ব্রেস্ট ফ্রেন্ড, বর্তমানে সতীন পায়েল-কৃতিকা-র সম্পর্ক। প্রিয় বন্ধু হলেও তার সঙ্গেও কি স্বামীকে ভাগ করে নেওয়া যায়?

শনিবার চ্যানেল কর্তৃপক্ষের শেয়ার করা একটা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পায়েল কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘আমার নিজের পরিবারের কথা খুব মনে পড়ে। বোনেদের কথা মনে পড়ে। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে, মা-বাবার কথা মনে পড়ে। আমি তো নিজের বাড়িতে বেশ সুখেই ছিলাম। এখানে আমায় কেউ পাত্তাও দেয় না। কোনও গুরুত্বই নেই আমার। আমি অসুস্থ হলে এখন কেউ জিগ্গেস করার নেই যে কী হয়েছে? ওরা দুজনে দিব্যি জিমে চলে গেল।’

পায়েল বলেন, ‘আমার একদিন শরীর খারাপ, ওরা জিগ্গেস করল কী হয়েছে? আমি বললাম, মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা। ওরা (আরমান, কৃতিকা) আমাকে ওষুধের কথাও জিগ্গেস করল না। নিজেরা ডায়েট করে জিমের জন্য বের হয়ে গেল। ওদের কাছে জিমই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার শরীর খারাপ একা রেখে যাওয়া উচিত কিনা কেউ ভাবে না। এটা প্রায়ই ঘটে। ওরা লোকের সামনে দেখায়, পায়েলের শরীর খারাপ, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তবে আদৌ তা নয়। আমি একাই ডাক্তারের কাছে যাই।’

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পায়েলকে বিয়ে করেন আরমান। তাঁদের এক পুত্রসন্তানও হয়, যাঁর নাম চিরায়ু। এদিকে পায়েলের সঙ্গে বিবাহিত থাকাকালীনই স্ত্রীর বেস্টফ্রেন্ড কৃতিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান আরমান। মাত্র ৭ দিন ডেটিং করেই, ২০১৮ তে কৃতিকাকে বিয়ে করেন আরমান। দুই বিয়ের জন্য ইসলাম ধর্মও গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে দুই স্ত্রীর সঙ্গেই একই ছাদের নীচে থাকেন আরমান মালিক। ইতিমধ্যেই বিগ বসের ঘরে পায়েল-কৃতিকা নিয়ে আরমানের সংসার নিয়ে নানান বিতর্ক দানা বাঁধছে।

ঠিক যেদিন প্রিয় বন্ধু কৃতিকাকে আরমানের বিয়ের কথা জেনেছিলেন, সেদিন ঠিক কী মনে হয়েছিল পায়েলের? সম্প্রতি Bigg Boss OTT-র ঘরে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন পায়েল মালিক। তিনি বলেন, ‘ওটা আমার জীবনের খুব খারাপ সময় ছিল, মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম, যে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। তবে ছেলের কথা ভেবে নিজেকে সামলে নিই। জানতাম, আমার ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল ছেলেকে গুণতে হবে। প্রায় ১ বছরের বাড়ি ছিলাম না। ছেলেকে নিয়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *